ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় সঞ্চালক তথা রাজনীতিবিদ আমির লিয়াকত হোসেনের মাত্র ৫০ বছর বয়সে অকালপ্রয়াণ ঘটেছে এ খবর প্রকাশ্যে এসেছিল বৃহস্পতিবারই। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার করাচিতে নিজের বাড়িতেই অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আমিরকে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন জনপ্রিয় এই সঞ্চালককে।
আমির লিয়াকত শুধু তার নিজের দেশে জনপ্রিয় নন, একজন অত্যন্ত সফল এবং ভাইরাল মিমস্টার হিসেবে আমিরের গোটা বিশ্বে পরিচিতি রয়েছে। বৃহস্পতিবার জনপ্রিয় এই মিমস্টারের মৃত্যুর খবর প্রকাশে আসতেই শোকের ছায়া পড়েছিল নেটপাড়ায়। অন্যদিকে কিভাবে এই জনপ্রিয় সঞ্চালক প্রাণ হারালেন সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। আর তাতেই রহস্যের গন্ধ পেয়েছেন অনেকে। পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের মত, আমিরের মৃত্যু স্বাভাবিক না হলেও হতে পারে। আর তাই তার মৃত্যুর পরের দিন থেকেই আমিরের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করল পাকিস্তান পুলিশ।
জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই আমিরের মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আমিরের মৃত্যু প্রসঙ্গে পুলিশকর্তা গুলাম নবি মেমন জানিয়েছেন, তার মৃত্যু ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই কারণেই আমিরের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তার দেহের ময়নাতদন্তের অনুমতি চাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মৃত এই সঞ্চালকের পরিবার তার দেহ কাটাছেঁড়া করার অনুমতি দেননি। অন্যদিকে দেহটি এখনো মর্গে রাখা হয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে।
তবে পুলিশ আধিকারিকরা আমিরের মৃত্যুতে রহস্যের গন্ধ পেলেও তার পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে বুধবার রাত থেকেই নাকি জনপ্রিয় সঞ্চালকের শরীর খারাপ ছিল। এমনকি বুধবার রাতে তার বুকেও ব্যথা উঠেছিল বেশ কয়েকবার। তাকে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে যেতে বলা হলেও পরিবারের সদস্যদের কথা মানেননি আমির। এরপর বৃহস্পতিবার আমিরকে তার ঘরের ভিতর অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আমিরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য প্রয়াত এই পাকিস্তানী সঞ্চালক পাকিস্থানে তো বটেই এমনকি ভারতেও যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং পরিচিত একটি মুখ। তার মজার অঙ্গভঙ্গি এবং অদ্ভুত হাস্যকর মুখোব্যঙ্গ সোশ্যাল মিডিয়াতেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। তার মুখের অঙ্গভঙ্গি সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায়শই মিম হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন নেটপাড়ার লোকজন। আর তাই জনপ্রিয় এই সঞ্চালকের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে পাকিস্থানে তো বটেই ভারতেও শোকের ছায়া দেখা দিয়েছে।