পুতিনকে বলেছিলেন ‘সাইকো’, খুনের এক বছর পর দেহ মিলল মডেলের

পুতিনকে বলেছিলেন ‘সাইকো’, খুনের এক বছর পর দেহ মিলল মডেলের

মস্কো: ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বমঞ্চে তো বটেই নিজের দেশেও সমালোচিত হয়েছেন। কেউ তাঁকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছে কেউ আবার অন্য কিছু। তবে এই যুদ্ধের অনেক আগেই পুতিনকে ‘সাইকোপ্যাথ’ বলেছিলেন এক মডেল। সেই মডেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে এখন! প্রায় ১ বছর নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এই মডেলের নাম গ্রেটা ভেদলার। তাঁর প্রেমিক তাঁকে খুন করেছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- চাইলেই কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ঘরে ফিরতে পারেন!

পুতিনের সমালোচনা করা মডেলের হত্যা হয়েছে এই খবর সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠেছে যে, সরকারের সমালোচনা করার জন্যই তাঁকে খুন হতে হয়েছে কিনা। এই নিয়ে চর্চা চলছে। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেটার প্রেমিকই তাঁকে খুন করেছে এবং এই কথা সে নিজেও স্বীকার করেছে। মডেলের প্রাক্তন প্রেমিক দিমিত্রি কোরোভিন এখন পুলিশি হেফাজতে। সে তাদের জানিয়েছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে টাকাপয়সা নিয়ে গ্রেটার সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল তাঁর। তার পরই তাঁকে খুন করেন সে। দিমিত্রি জানায়, গ্রেটাকে খুন করার পর একটি হোটেলের ঘরে তাঁর দেহের সঙ্গে তিন রাত ছিল সে। তার পর গাড়ি করে মস্কো থেকে প্রায় ৫০০ কিমি দূরে লিপেৎসক অঞ্চলে গ্রেটার দেহ নিয়ে গিয়ে গাড়ির পিছনে মালপত্র রাখার জায়গায় একটি স্যুটকেসের মধ্যে রেখে দেয় গ্রেটার দেহ। তারপর সেই গাড়ি ওখানেই ছেড়ে পালিয়ে আসে দিমিত্রি। এই এক বছর ধরেই ওখানে ওইভাবেই পড়েছিল গ্রেটার দেহ।

নিজের অপরাধ স্বীকার করার পাশাপাশি দিমিত্রি এও জানিয়েছে যে, এই খুনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। পুতিনের সমালোচনা বা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার সঙ্গে এই খুনের কোনও যোগাযোগ নেই। ব্যক্তিগত কারণেই এই ঘটনা। এমনকি কারোর যাতে সন্দেহ না হয় সেই জন্য গত এক বছর ধরে গ্রেটার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট দিমিত্রি চালাতো বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। সময় বিশেষে ছবি পোস্ট করা হত। কিন্তু হঠাৎ একদিন সন্দেহ হয়েছিল ইউজেনি ফস্টার নামে গ্রেটার এক বন্ধুর। সে ইউক্রেনের বাসিন্দা। সেই মস্কোর এক বন্ধুর সাহায্য নিয়ে গ্রেটার ব্যাপারে পুলিশকে জানায়। তারপরেই তদন্ত মারফৎ ধরা পড়ে দিমিত্রি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × four =