টোকিও: ইহলোকের মায়া ত্যাগ করলেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ মহিলা কানে টানাকা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত ১৯ এপ্রিল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন কানে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১১৯ বছর। এখনও পর্যন্ত তিনিই ছিলেন বিশ্বের সবথেকে প্রবীণ ব্যক্তিত্ব। ইতিমধ্যেই বিশ্বের প্রবীণতম নাগরিক হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’-এও নাম উঠেছে কানের। তাই তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে গিনেস বুক সংস্থাও।
কানের পরিবার সূত্রের খবর, বার্ধক্যজনিত কারণে নানা শারীরিক সমস্যা থাকলেও আসলে কানে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত একপ্রকার নিরোগই ছিলেন। তবে শেষ দিকে তাঁর বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তিনি স্থানীয় একটি বৃদ্ধাশ্রমের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং সেখানেই গত সপ্তাহে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পরিবার সূত্রে খবর, কানের জন্ম হয় ১৯০৩ সালের ২ জানুয়ারি। ওই দিনটি আরও দুটি কারণে বিশেষভাবে স্মরণীয়। কারণ ওই দিনেই রাইট ভ্রাতৃদ্বয় বিদ্যুৎচালিত বিমান আবিষ্কার করেছিলেন এবং মেরি কুইরি প্রথম মহিলা হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে হিদেও টানাকার সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন কানে। তাঁদের মোট পাঁচ সন্তান। এর মধ্যে একটি তাঁদের দত্তক নেওয়া।
কানের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভালোবাসতেন তিনি। মারা যাওয়ার দিন কয়েক আগেই পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয় পরিজনদের নিয়ে হৈ হৈ করে তিনি তাঁর জন্মদিনও পালন করেন। চকলেট খেতে প্রচন্ড ভালোবাসতেন তিনি। তাই তাঁর শেষ জন্মদিনেও তিনি প্রচুর চকলেট উপহার পেয়েছিলেন বলে খবর।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বিশ্বের প্রবীণতম নাগরিক হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম ওঠে জাপানি এই মহিলার। এর পরেই বিশ্বজোড়া খ্যাতি পান তিনি। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর নাম। এমনকি টোকিও অলিম্পিকে হাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে দৌড়াতেও দেখা যায় তাঁকে। এই অসামান্য ব্যক্তিত্বের প্রয়াণে শোকোস্তব্ধ সমগ্র বিশ্ব।