তেহরান: ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলন তুমুল পর্যায়ে চলে গিয়েছে। ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনি নামের এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যুর পরেই কার্যত বিক্ষোভনগরীতে পরিণত হয় দেশ। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল, স্লোগান চলতে থাকে। প্রথমে অতিরিক্ত কঠোরতা দেখালেও পরে এক ধাপ সরে এসে প্রশাসন নিষিদ্ধ করেছে ‘নীতি পুলিশি’। তবে এখন আবার এক চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান সরকার। হিজাব বিরোধী এক আন্দোলনকারীকে ফাঁসি দিয়েছে তারা। এই ঘটনায় নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন- কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে রানি-অরিজিৎ, আমন্ত্রিতের তালিকায় আর কারা?
গত দু’মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইরানের হিজাব বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে সামিল ছিলেন এই ব্যক্তি। তবে এক নিরাপত্তারক্ষীর ওপর ছুরি নিয়ে হামলা করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। তাতেই দোষী সাব্যস্ত হন তিনি এবং তারপর তাকে ফাঁসি দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির নাম মোহসেন শেকারি। ইরানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছে যে, ওই ব্যক্তি নিরাপত্তারক্ষীর ওপর হামলার ঘটনার কথা স্বীকার করেছিল। তার একটি ভিডিও ফুটেজও ছাড়া হয়েছিল। যদিও আন্দোলনকারীদের একাংশের দাবি, শেকারির ওপর অত্যাচার করে তাকে এ কথা স্বীকার করতে বাধ্য করান হয়েছিল।
হিজাব পরেননি কেন? ‘শাস্তি’ দিতে তরুণীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ওই তরুণীর রহস্যমৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ইরান হিজাব-বিরোধী প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে। অভিযোগ ছিল, ‘নীতি পুলিশি’র কারণে ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে। তার পর থেকেই গোটা ইরান জুড়ে মৌলিক অধিকারের দাবিতে পথে নামে সহস্র মানুষ। অন্ততপক্ষে ইরানের ৮০টি শহরে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব হতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে।