কলম্বো: রাত পেরোলেই ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার কথা শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। এমতাবস্থায় কি হতে চলেছে দেশের ভবিষ্যৎ তা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিদদের একাংশ।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাবিতে ইতিমধ্যই এই দ্বীপ রাষ্ট্রের রাস্তায় রাস্তায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, আন্দোলন। গোটা দেশ বিদ্রোহের আগুনে জ্বলছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের দুই শাসকপ্রধানই যদি নিজ নিজ পদ থেকে সরে দাঁড়ান তাহলে প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়তে পারে, আশঙ্কা এমনটাই। কিন্তু এই সমস্ত আশঙ্কা, উদ্বেগের মধ্যেই জানা গেল আগামী ২০ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে শ্রীলঙ্কায়। আগামীকাল অর্থাৎ ১৩ জুলাই গোতাবায়া পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরেই এই নির্বাচন প্রসঙ্গে সরকারি তরফে বিস্তারিতভাবে জানানো হবে বলে খবর।
একই সঙ্গে খবর মিলছে শ্রীলঙ্কার আগামী এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পদপ্রার্থী হিসেবে লড়তে চলেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা সজীথ প্রেমডাসা। ইতিমধ্যেই তিনি জানিয়েছেন, রাজাপক্ষে পদত্যাগ করলে তিনি দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে প্রস্তুত। এমনকি তাঁর দল অন্য সমস্ত বিরোধী দলের সঙ্গে প্রেমদাসার এই পদক্ষেপে সমর্থন পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে বলে খবর। তারা বিরোধী সমস্ত সাংসদদের সঙ্গে কথা বলাও শুরু করেছেন।
প্রেমদাসা শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে পুরনো খিলাড়ি। এর আগে ২০১৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও তিনি নিজের মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজাপক্ষের মতো ক্ষমতাসীন পরিবারের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারেননি। তার ওপর তখন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দারও সমর্থন ছিল গোতাবায়ার দিকেই। তাই প্রেমদাসাকে খুব সহজে হারিয়েই গোতাবায়া রাজাপক্ষে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
বিক্ষোভের মুখে পড়ে দেশটির পলাতক প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে ইতিমধ্যেই নাকি প্রধানমন্ত্রীকে নিশ্চিত করেছেন যে তিনি এই সপ্তাহে পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করছেন এবং সংসদের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা জানিয়েছেন যে আইনপ্রণেতারা ২০ জুলাই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। যদিও পদত্যাগের বিষয়টি গোতাবায়া রাজাপক্ষে এখনও নিজের মুখে নিশ্চিত করেননি।