ইসলামাবাদ: অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ইমরান খানের সরকার নিয়ে। যে কোনও মুহূর্তে তাঁর সরকারের পতন হতে পারে। ইমরানকে ছেড়ে গিয়েছে তাঁর দলের প্রধান জোটসঙ্গী। বিরোধী দলের সঙ্গে নয়া জোট করেছে তারা। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই মন ভালো নেই পাক প্রধানমন্ত্রীর। কেউ পাশে দাঁড়াক এমন কিছুই চাইছেন তিনি। তবে তাঁর এক সময়ের সবথেকে কাছের মানুষও তাঁকে আজ খোঁচা দিতে ছাড়লেন না। কথা হচ্ছে, ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রীর। তিনিও একহাত নিলেন তাঁর প্রাক্তন স্বামীকে।
আরও পড়ুন- প্রথম দফার সামরিক অভিযানে ইতি, হয়েছে লক্ষ্যপূরণ, জানিয়ে দিল রাশিয়া
ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী রেহাম খান তাঁর সমালোচনা করে বলেছেন, ইমরান খান যতদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না ততদিন দেশ ভাল ছিল। সে ক্ষমতায় এসে দেশে আবর্জনা ছড়িয়ে রেখেছে বলে দাবি তাঁর। পাশাপাশি জানিয়েছেন, এই আবর্জনা পরে দেশের মানুষকেই পরিষ্কার করতে হবে। রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে প্রাক্তন স্ত্রীয়ের খোঁচা, সময়টা সত্যিই ভাল যাচ্ছে না ইমরানের জন্য। মূল্যবৃদ্ধি বা মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা তো দূর, অন্যান্য ইস্যুতেও সামগ্রিক ভাবে ইমরান সরকার কিছুই করতে পারেনি বলেই দাবি। এই আবহে তাঁর পদ যাবে, তাঁর দলের পতন ঘটবে, এমনটা হওয়াই যেন সময়ের অপেক্ষা। ইমরান খান যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন ‘নতুন পাকিস্তান’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। বিরোধী পক্ষের দাবি, কোনও প্রতিশ্রুতিই রাখতে পারেননি ইমরান।
ইমরানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের প্রধান জোট সঙ্গী ছিল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম)। কিন্তু এখন তারা বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে চুক্তি করেছে। তার জেরেই বিরাট আশঙ্কার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে ইমরান খানের জন্য। আসলে বিরোধীদলের পক্ষে পাকিস্তানের সংসদে সদস্যের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৭। ইমরানের সমর্থনে আছেন ১৬৪ জন সদস্য। অনাস্থা ভোটে ইমরানকে হারাতে ১৭২ জন সদস্যের ভোটের প্রয়োজন বিরোধীদের। তাই হলফ করে বলা যায় ক্ষমতা হারাতে চলেছে ইমরান নেতৃত্বাধীন সরকার।