নয়াদিল্লি: আজ ২২ এপ্রিল, প্রতি বছরের মতো এবারেও পালিত হচ্ছে বসুন্ধরা দিবস। পরিবেশকে রক্ষা করতে, ক্ষতিগ্রস্থ বাস্তুতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে এই বসুন্ধরা দিবস পালন করা হয়। ১৯৭০ সালে প্রথম বসুন্ধরা দিবস পালিত হয়। চলতি বছর বসুন্ধরা দিবসের ৫২ তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে।
১৯৬৯ সালে সান্তা বারবারার তেল ছড়িয়ে পড়ার প্রতিবাদ আমেরিকার মানুষ প্রথম বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। তাঁরা পরের বছর ২২ এপ্রিল সামিল হয়েছিলেন।২২ এপ্রিল সময়টা বেছে নেওয়া হয়েছিল, কারণ সেই সময় আমেরিকার স্কুল কলেজগুলো ছুটি থাকে। পরীক্ষা শেয় হয়ে যায়। ১৯৭০ সালের বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষ সামিল হয়েছিলেন। তারপর থেকে এই দিনটিতে পরিবেশগত সচেতনতা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়।
২০০৯ সালে রাষ্ট্রসংঘ ২২ এপ্রিল দিনটিকে বসুন্ধরা দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভূমি দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। রাষ্ট্রসংঘের তরফে সেই সময় একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘পৃথিবী ও তার বাস্তুতন্ত্র আমাদের জীবন ও ভরনপোষণের দায়িত্ব নেয়। তাকে সম্মান জানাতেই এই আন্তর্জাতিক মাতৃভূমি দিবস বা বসুন্ধরা দিবসের সিদ্ধান্ত।’ রাষ্ট্রসংঘের মতে, ‘আমাদের বাস্তুতন্ত্র যত বেশি সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকবে, মানুষের জন্য তত মঙ্গল। বাস্তুতন্দ্রের জন্য লড়াই করা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তবেই পৃথিবী প্রতিটি প্রাণীর ও মানুষের জন্য নিরাপদ বাসস্থান হয়ে উঠবে।’
গত এক দশক বা তার থেকে বেশ কিছু সময় ধরে বিশ্বে জলবায়ুরর দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। যার জেরে খরা, দাবানল, বন্যার হার বেড়ে গিয়েছে। গত দুই বছর ধরে করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব লড়াই করছে। রাষ্ট্রসংঘের মতো, আমাদের বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে এগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।
বিশ্ব উষ্ণায়ন ঠেকাতে সব থেকে বড় পদক্ষেপ হল প্যারিস চুক্তি। গ্রিন গ্যাসের নির্গমন কমাতে এই চুক্তি ২০১৬ সালে আজকের দিনে করা হয়। এই চুক্তিতে প্রায় ২০০ টি দেশ স্বাক্ষর করে। চলতি বছর আর্থ ডে অর্গানাইজেশনের তরফে নির্বাচিত থিম হল, ‘আমাদের গ্রহে বিনিয়োগ করুন।’ এই প্রসঙ্গে সংস্থার তরফে ব্যাখা করা হয়েছে, ‘সময় এসেছে পরিবর্তনের-ব্যবসায়িক আবহাওয়া, রাজনৈতিক জলবায়ু এবং বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা। আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের পরিবার, আমাদের জীবিকা সংরক্ষণ ও রক্ষা করার জন্য সাহসী পদক্ষেপ করার সময় এসেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পৃথিবীর স্বার্থে বিনিয়োগ করতে হবে।’