লন্ডন: সাহিত্যের জন্য অন্যতম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বুকার পুরস্কার পেলেন গীতাঞ্চলি শ্রী। বিখ্যাত উপন্যাস টম্ব অফ স্যান্ডের জন্য তিনি এই সম্মান পেলেন। পাশাপাশি এই প্রথম হিন্দি বা ভারতীয় ভাষায় লেখা সাহিত্যের জন্য বুকার সম্মান দেওয়া হল।
টম্ব অফ স্যান্ড উপন্যাসের অনুবাদ করেন ডেইজি রকওয়েল। লন্ডনের অনুষ্ঠানে গীতাঞ্জলি শ্রী বলেন, তিনি অনুবাদকের সঙ্গে এই পুরস্কারটি ভাগ করে নিচ্ছেন। তিনি ৫০ হাজার পাউন্ড পুরস্কার হিসেবে পেলেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গীতাঞ্জলি শ্রী বলেন, আমি কোনওদিন কল্পনা করতে পারিনি যে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার পাবো। কী বিশাল স্বীকৃতি। আমি অভিভূত, সম্মানিত এবং সর্বোপতি খুব খুশি। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই পুরস্কার গ্রহণে এটা মন খারাপের স্বস্তি রয়েছে। রেত সমাধি বা টম্ব অফ স্যান্ড এমন একটা পৃথিবীর গল্প যেখানে আমরা বাস করি। যেখানে রম দুঃখ কষ্টের মধ্যে একটা আশা বেঁচে থাকে। বুকার পুরস্কারের জন্য এই বই আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। না হলে হয়তো অন্যভাবে মানুষের কাছে পৌঁছত।
রেত সমাধি বা টম্ব অফ স্যান্ড উপন্যাস তৈরি হয়েছে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধাকে কেন্দ্র করে। তাঁর দুঃখ, কষ্ট বা ভালো থাকার চড়াই উতরাই এই গল্পের মধ্যে ফুটে উঠেছে। বুকার পুরস্কারের বিচারকরা প্রশংসার বন্যায় ভরিয়ে দিয়েছেন বইটি। কেউ বলছেন, এই গল্প একটা আনন্দের উচ্ছ্বাস আবার কেউ বলছেন এমন একটা উপন্যাস যেটা শুরু করলে থামা যায় না।
এই প্রসঙ্গে গীতাঞ্জলি শ্রী বলেন, এই বইয়ের নেপথ্যে যে একটা হিন্দি সাহিত্যের যে সুগভীর , উঁচু সংস্কৃতি রয়েছে তা ফের একবার প্রমাণিত হল। দক্ষিণ এশিয়ার আরও এক ভাষা বিশ্ব সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে তা আর নতুন করে প্রমাণের প্রয়োজন নেই। গীতাঞ্জলি শ্রীর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি দিল্লিতে বাস করেন। ইতিমধ্যে তাঁর তিনটে উপন্যাস ও অসংখ্য গল্প ইংরেজির পাশাপাশি ফরাসিতে, জার্মান, সাইবেরিয়ান, কোরিয়ান ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে৷ তাঁর প্রথম বই ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয়।
২০২১ সালের আগস্টে ইংল্যান্ডে টম্ব অফ স্যান্ড বইটি প্রকাশিত হয়। ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত এটাই তাঁর প্রথম বই। সেই বই তাঁকে এনে দিল আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার।