ইসলামাবাদ: ইমরান খানকে পদচ্যুত করে সবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শাহবাজ শরিফ। কিন্তু সেই ভাগ্য বোধহয় বেশিদিন রইল না। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে পাক প্রধানমন্ত্রী শহবাজ শরিফকে গ্রেফতার করতে চায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। ইতিমধ্যে আদালতে গোয়েন্দা সংস্থা পাক প্রধানমন্ত্রীর গ্রেফতারি চেয়ে আবেদন করেছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সুলেমান শাহবাজ ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শহবাজকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
শনিবার পাকিস্তানের এফআইএ-র বিশেষ আদালতে হাজিরা দেন প্রধানমন্ত্রী শহবাজ শরিফ ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শরিফ। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতির রিপোর্ট পেশ করে এফআইএ-এর আইনজীবী। এফআইএ-এর আইনজীবী শাহবাজ শরিফ ও হামজা শরিফকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেন। আইনজীবী জানান, যে বিপুল পরিমাণে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে শাহবাজ শরিফ ও সুলেমন শরিফকে গ্রেফতারের প্রয়োজন। শাহবাজ শরিফের আইনজীবী পাল্টা জানান, জেলে থাকার সময় বাবা-ছেলেকে এফআইএ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। আবার বার বার এফআইএ তলব করেছে। প্রতিবারই তাঁরা এফআইএ দফতরে হাজিরা দিয়েছেন। এরপরেও তাঁদের গ্রেফতারের কিসের প্রয়োজন। আগামী ১১ জুন পর্যন্ত আদালত এই মামলা মুলতুবি রেখেছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রীর সময়কালে দ্রুত তদন্ত শুরু করে এফআইএ। তদন্তকারীদের রিপোর্ট অনুসারে, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে শাহবাজ পরিবারের ২৮টি বেনামি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া যায়। সেখানে এক হাজার ৪০০ কোটির বেআইনি লেনদেন হয়েছে বলেও অভিযোগ। পাকিস্তানে দুর্নীতির জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরতে হয়েছিল নওয়াজ শরিফকে। তাঁকে বেশ কিছুদিন জেলেও থাকতে হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন। নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগের তদন্ত শুরু করতে গিয়ে শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক তছরুপের অভিযোগ পায়। সেখান থেকে এফআইএ তদন্ত শুরু করেন। এই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে শাহবাজ শরিফ ও তাঁর ছেলে সুলেমান শরিফকে বেশ কিছুদিন লাহোর জেলে কাটাতে হয়।