ঋতুমতীর সময়ে ঘরবন্দি থাকছেন মায়ানমারের মহিলারা, কিন্তু কেন জানেন?

ঋতুমতীর সময়ে ঘরবন্দি থাকছেন মায়ানমারের মহিলারা, কিন্তু কেন জানেন?

ন্যপিদ্য:  মায়ানমারের করুণ অবস্থা ফের সংবাদের শিরোনামে জায়গা করে নিল। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মায়ানমারের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়তে থাকে। যার জেরে দেশের প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। মায়ানমারের মানুষ আশ্রয়ের জন্য সীমান্ত পেরিয়ে ভারত বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য চেষ্টা করছেন। এই পরিস্থিতি মায়ানমারের মহিলারা জানালেন, পরিস্থিতি খুব খারাপ। তাঁদের নিজেদের অন্তর্বাস বা স্যানেটারি ন্যাপকিন কেনার ক্ষমতা নেই। বাধ্য হয়েই কাপড় ব্যবহার করছেন। ঋতুমতীর দিনগুলোতে বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। 

মায়ানমারের  এক তরুণী বলেন, দেশের অবস্থা খুব খারাপ। তাঁর মতো মায়ানমারের বহু মানুষ গৃহহীন। সময় ভালো থাকলে ত্রিপলের নীচে আশ্রয় নিচ্ছেন। বেশিরভাগ সময় রোদ, ঝড়, বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নীচে থাকতে হচ্ছে। এমন অবস্থা হয়েছে, স্যানেটারি ন্যাপকিন বা অন্তর্বাস কেনার ক্ষমতা নেই। তাই জামা-কাপড়ে দাগ লেগে না যাওয়া অবধি একটি স্যানেটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করছেন। আবার কখনও কাপড় ব্যবহার করছেন। তিন বলেন, কাপড় ব্যবহার করা অস্বাস্থ্যকর। তারপরেও তাঁরা কাপড় ব্যবহার করছেন।  ওই তরুণী বলেন,  স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া বা স্যানেটারি ন্যাপকিন কেনা এখন বিলাসিতার বাইরে কিছু নয়। কারণ, যাদের দুবেলা পেট ভরা খাবার জোগাড় হয় না, তাদের কাছে এগুলো অনেকটাই কম গুরুত্বপূর্ণ। মায়ানমারের অন্য এক মহিলা জানান, তাঁদের অন্তর্বাস কেনার ক্ষমতা নেই। তা পুরুষ হোক বা মহিলা। দিনের পর দিন এক অন্তর্বাস পড়ে কাটাতে হয়। 

মায়ানামারের আর্থিক ও সামাজিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। ২০২০ সাল থেকে মায়ানমারের ১৬ লক্ষ মানুষ সেনা অভ্যুত্থান ও করোনা মহামারীর জেরে কাজ হারিয়েছেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই মায়ানমারের সেনা অভ্যত্থান হয়। সু কি সহ দেশের সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের জেলে ঢুকিয়ে দেয় সেনারা। বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হয়। তবে সেই বিচারের বানী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − 2 =