করোনা আতঙ্কের মাঝেই বার্ড ফ্লুর কাঁটা, এবার সংক্রমণ মানবদেহে

করোনা আতঙ্কের মাঝেই বার্ড ফ্লুর কাঁটা, এবার সংক্রমণ মানবদেহে

70e9becb65815a585c8c1ee1385a2153

বেজিং: বেশ কিছুদিন পরিস্থিতি ঠিক থাকার পরে যখন আবার দেশ-বিদেশে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা, ঠিক তখনই নতুন ভয় হিসাবে আত্মপ্রকাশ করল বার্ড ফ্লু। চলতি কয়েক বছরে করোনা আতঙ্কের মাঝেই চিন, জাপানসহ একাধিক দেশে বার্ড-ফ্লুর বাড়বাড়ন্ত নজরে এসেছে। কিন্তু এবার আর পাখি নয়, সরাসরি মানবদেহেই মিলল বার্ড ফ্লু H3N8-এর স্ট্রেন। এবারও সেই চিন। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি চিনের চার বছরের এক শিশুর শরীরে মিলেছে এই বার্ড ফ্লুর স্ট্রেন। চলতি মাসের শুরু থেকেই জ্বর এবং অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিয়েছিল তার মধ্যে। পরিস্থিতি কিছুটা সংকটজনক হওয়ায় তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। প্রথমেই হয় তার করোনা পরীক্ষা। কিন্তু সেখানে কিছু পাওয়া না গেলে চিকিৎসকরা তার নমুনা বার্ড ফ্লু- এর পরীক্ষার জন্য পাঠায়। তাতেই দেখা যায় যে ওই শিশু বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওই শিশুর বেশ কয়েকটি পোষা মুরগি রয়েছে। এছাড়া যে এলাকায় তার বসবাস সেখানে প্রচুর বুনোহাঁস রয়েছে। সুতরাং প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের অনুমান, ওই হাঁস-মুরগি থেকেই কোনওভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে ওই শিশুর দেহে। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ঐ শিশুর সংস্পর্শে এসেছিলেন যারা তাদেরও নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। কবে তাঁদের মধ্যে কেউই বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হননি বলে খবর।

তবে চিকিৎসক মহল সূত্রে খবর, বার্ড ফ্লু-এর ওই স্ট্রেন H5N8 মানবদেহে খুব একটা ক্ষতি করতে পারে না। তবে এই স্ট্রেনটি পোলট্রির মুরগি বা যে কোনও পাখির জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এতে আক্রান্ত হয়ে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই হাজার হাজার মুরগি এবং পাখির মৃত্যু হতে পারে। তবে মানুষের শরীরের সবথেকে বেশি ক্ষতিকারক হল বার্ড ফ্লু-এর H7N9 স্ট্রেনটি। ২০১৩ সালে প্রথম এই স্ট্রেনের হদিস মেলে এবং ২০১৬-১৭ সালে এই স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়। তবে ক্ষতিকারক হোক কিংবা না হোক এক্ষেত্রে কোনরকম ঝুঁকি নিতে রাজি নন চিকিৎসকমহল। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই সরকারি তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই এলাকায় কোনও অসুস্থ কিংবা মৃত পাখি থেকে যেন দূরে থাকেন এলাকাবাসীরা। যদি একসঙ্গে অনেক পাখির মৃত্যু হয় তাহলে যেন সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানানো হয় স্থানীয় প্রশাসনকে। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর এই মুহূর্তে ওই শিশু ছাড়া আর কারও শরীরেই কোনও কিছু মেলেনি। অন্যদিকে শিশুটিরও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *