শিকাগো: শহর জুড়ে ধুমধামের সঙ্গে পালিত হচ্ছিল দেশের ২৮৭ তম স্বাধীনতা দিবস। একদিকে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ কর্মীদের প্যারেড, অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহরবাসীর উচ্ছ্বাস সব মিলিয়ে কার্যত জমজমাট ছিল শিকাগোর পরিবেশ। কিন্তু সেই আনন্দমুখর শিকাগোকেই কয়েক লহমায় সাক্ষাৎ মৃত্যুপুরীতে রূপান্তরিত করল বছর ২২-এর নিছকই সাদামাটা এক তরুণ। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে বাকি ৫ জনের থেকে আলাদা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু এই সাধারণ যুবকই স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে এক এক করে নয়জনকে গুলি করে হত্যা করেছে, আহতের সংখ্যা ৫০ পার করেছে বলে খবর। তবে এই হত্যালিকা চালানোর পরেও বেশ কিছুক্ষন কিন্তু তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। তার খোঁজে শহর জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। শেষে প্রায় গোটা দিন ধরে শিকাগো পুলিশকে নাকানি-চুবানি খাওয়ানোর পর শেষমেষ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ওই যুবক। এরপরে শুরু হয় তদন্ত।
জানা যাচ্ছে এই ঘটনার আততায়ী রবার্ট ক্রিমো বছর ২২-এর ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার এক অত্যন্ত সাদামাটা যুবক। তার বাড়িও হামলার স্থলের কাছাকাছি অর্থাৎ শিকাগোর হাইল্যান্ড পার্ক এলাকায়। পেশায় একজন ইউটিউবার এই রবার্ট। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে তার একাধিক ইউটিউব চ্যানেলের হদিস মেলেছে। ভালো করে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতেই দেখা গিয়েছে তার প্রায় সব কটি ইউটিউব চ্যানেলেই বিদ্যমান হিংসা এবং হিংসাত্মক ভিডিওর দৃশ্য। কোনোটাতে পুলিশ লাঠি হাতে ধরা কোন বিক্ষোবকারীকে হত্যা করছে, কোথাও আবার একজন অপরজনের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এরপরেই পুলিশের ধারণা রবার্টের মানসিক কোন সমস্যা রয়েছে।
জানা গেছে সোমবারের এই হামলার কথাও রবার্ট আগে থেকেই তার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে জানিয়েছিল। তবে সেই হামলা যে এত সাংঘাতিক হতে চলেছে তা কারোর চিন্তাতেও আসেনি।