কিয়েভ: সম্প্রতি রুশ দম্পতির ৩০ সেকেন্ডের একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। এক রুশ সেনার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের ৩০ সেকেন্ডের অডিও ফাঁস হয়। আর তাতেই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, কিয়েভ দখলে ব্যর্থ রুশ সেনারা কি তবে ধর্ষণকে হাতিয়ার করতে চাইছে। কীভাবে এক রুশ সেনার স্ত্রী নির্বিচারে ইউক্রেনের মহিলাদের নির্বিচারে ধর্ষণের উস্কানি দিতে পারে।
কিন্তু কী রয়েছে অডিওটিতে? মহিলা কণ্ঠে একজন বলছেন, ‘ইউক্রেনের মেয়েরা তো রয়েছে, তাহলে আর ভাবনা কীসের। যা ইচ্ছা তাই করো। শুধু প্রোটেকশন নিতে ভুলো না।’ অপর প্রান্ত থেকে উত্তেজিত পুরুষকণ্ঠ বলছেন, ‘সত্যি বলছ? অনুমতি দিচ্ছ।’ মাত্র ত্রিশ সেকেন্ডের রুশ সেনার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠেছে বিশ্ব। কীভাবে রাশিয়ার সেনারা ধর্ষণ উদযাপন করছেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। এর আগে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, রুশ সেনাদের লাল চক্ষু এড়াতে ইউক্রেনের মেয়েরা চুল কেটে দিচ্ছে। রুশ দম্পতির ফাঁস হওয়া ফোনালাপ যেন সেই কথাকেই আর একবার প্রমাণ করল। ইউক্রেনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, রুশ সেনারা বাচ্ছা মেয়েদের রেয়াত করছে না। তাদের ওপরেও যৌন নির্যাতন চালচ্ছেন রুশ সেনারা।
আগে এক রুশ সেনা ইউক্রেনের এক শিশুর ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। তার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। ইউক্রেনের মেয়েদের ধর্ষণ ও খুনের আগে আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে ‘নয়া নাৎসি’ ছাপ দেওয়া, ২৫ জন মেয়েকে বেসমেন্টে আটকে রেখে রুশ সেনাদের ক্রমাগত ধর্ষণের টুকরো টুকরো ছবি সামনে আসছিল। এবার সেই আগুনেই যেন ঘি দিয়ে রুশ সেনা দম্পতির ফোনালাপ প্রকাশ্যে এল। এই বিষয়ে সরব হয়েছে ইউক্রেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন। এই বিষয়ে তারা রাষ্ট্রসংঘে সরব হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলনোস্কি লিথুয়ানিয়ার সংসদে এই বিষয়ে সরব হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, রুশ সেনারা মেয়েদের পাশাপাশি শিশুদের ওপরও অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে। বুচা, খারকিভ, মারিপিউ শহরে গণহত্যার পাশাপাশি ধর্ষণের নৃশংসতার একাধিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। তবে এই বিষয়ে ক্রেমলিন এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি। তবে এই ফোনালাপ ফাঁস হয়ে যাওয়াতে রাশিয়া যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।