‘বসে’র মতো ক্লাস নিচ্ছেন নবতিপর অধ্যাপক, আবেগে ভাসল নেটিজেনরা

‘বসে’র মতো ক্লাস নিচ্ছেন নবতিপর অধ্যাপক, আবেগে ভাসল নেটিজেনরা

4651ad1fc794bd0ff9ac4a36cad0139f

 

নিউ ইয়র্ক: দীর্ঘ দিনের শিক্ষকতার জীবন তাঁর৷ আজীবন ছাত্রদের পড়িয়েছেন দরদ দিয়ে৷ কিন্তু করোনাকালে বদলেছে পরিস্থিতি৷ ছাত্রছাত্রীরা এখন আর স্কুল-কলেজে গিয়ে নয়, বাড়িতে বসেই পাঠ নিচ্ছে অনলাইনে৷ তাই সময়ের প্রয়োজনে নিজেকে বদলে নিয়েছেন নবতিপর এই শিক্ষকও৷ সম্প্রতি স্যশ্যাল মিডিয়ায় ৯১ বছরের এই ইংরেজি শিক্ষকের অনলাইন ক্লাস করানোর ছবি পোস্ট করেন তাঁর মেয়ে৷ যা মন কেড়েছে নেটিজেনদের৷ 

আরও পড়ুন- উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংক্রমণ, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ৭ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নমো

 

টেবিলে রাখা একটি কম্পিউটারের সামনে বসে ক্লাস করাচ্ছেন বৃদ্ধ প্রফেসার৷ সেই ছবি তুলে পোস্ট করে দেন তাঁর মেয়ে জুলিয়া ক্রোন মেকলিং৷ মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়৷ ওই ছবিতে দেখা যায়, মিনেসোটার সেন্ট থমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির প্রাক্তন অধ্যাপক ক্লাস নিচ্ছেন অনলাইনে৷ এই ছবিটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে জুলিয়া লেখেন, ‘‘ আমার বাবা ৫০ বছর ধরে সেন্ট থমাস বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন৷ ৯১ বছরের এক বৃদ্ধ এক জন ‘বস’-এর মতো ভার্চুয়াল ক্লাস নিচ্ছেন৷’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘কয়েক দশক ধরে তিনি ছাত্রদের পড়াচ্ছেন৷ এখনও শিক্ষকতা তাঁর প্যাশন৷ প্রথম দিনের মতো একই ভাবে তিনি উদ্যমী ও উৎসাহী৷ এই বাচ্চারা যে কত ভাগ্যবান সে সম্পর্কে তাঁদের কোনও ধারনা নেই৷’’ 

আরও পড়ুন- আধার কার্ড হারিয়ে গিয়েছে? চিন্তা নেই, ফিরে পান সহজেই

 

জুলিয়ার পোস্ট করা ছবিটি ভাইরাল হতেই তা মন জিতে নেয় আপামর বিশ্বের নেট নাগরিকদের৷ পোস্ট হওয়ার পর থেকে ৬৩ হাজারেরও বেশি লাইক পড়েছে এই ছবিটিতে৷ শেয়ার হয়েছে ২৮ হাজার৷ প্রায় বারোশ মানুষ তাতে কমেন্ট করেছেন৷ এক বাক্যে সকলেই কুর্নিশ জানিয়েছেন এই বর্ষীয়াণ অধ্যাপককে৷ ফেসবুকে এক ইউজার লিখেছেন, ‘‘আমার কাছে শিক্ষকতা একটি মহান কাজ৷ শিক্ষকদের প্রতি আমার মনে সম্মান রয়েছে৷ আপনি ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন স্যার৷’’ আবার অপর এক ইউজার লিখেছেন, ‘‘এই ছবি দেখেই বোঝা যায়, উনি শিক্ষকতার প্রতি কতটা অনুরাগী ছিলেন৷’’ অন্য একজনের কথায়, ‘‘ওনাকে দেখুন৷ যেন কলেজে লেকচার দেওয়ার জন্য সেজে উঠেছেন৷’’ এই নবতিপর অধ্যাপকের জন্য যেন আবেগতাড়িত নেট পাড়ার বাসিন্দারা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *