কিয়েভ: যুদ্ধ শেষ কবে, তা বলা এখনও কঠিন। দুই দেশের বৈঠক থেকেই আশার আলো কিছু এখনও দেখা দায়। এরই মাঝে আবার ইউক্রেনের আরও একটি সেনাঘাঁটি ধ্বংস করল রাশিয়া। লাগাতার গোলাবর্ষণে এক নিমেষে প্রাণ হারিয়েছে ৭০ জন ইউক্রেনীয় সেনা বলে জানা যাচ্ছে। ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বে ইভানকিভ শহরের সেনাঘাঁটিতে রাশিয়ার ট্যাঙ্কবাহিনী এই হামলা চালায়। তবে শুধু ইউক্রেন সেনার ওপর রাশিয়া হামলা করছে তা নয়। হামলা চালানো হচ্ছে সাধারণ জনবসতিপূর্ণ এলাকাতেও। তার জেরে প্রাণ হারাচ্ছে বহু সাধারণ, নিরস্ত্র, অসহায় মানুষ। যুদ্ধের বলি হয়েছে কয়েক জন শিশুও।
আরও পড়ুন- প্রাণ সঙ্কটে জেলেনস্কি? বিশেষ প্রশিক্ষিত ‘ভাড়াটে’ বাহিনীকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে হত্যার ভার
দেখতে দেখতে ৫ দিনে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তথ্য বলছে ইতিমধ্যে অন্তত সাড়ে তিনশো সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইউক্রেনে। তাদের মধ্যে ১৪ জন শিশু রয়েছে বলে খবর। রাশিয়া এবং ইউক্রেন যে বৈঠক হয়েছিল বেলারুশে তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। উলটে, বৈঠকের পর থেকে আরও বেশি আক্রমণ বাড়িয়েছে রাশিয়ান সেনা বাহিনী। মঙ্গলবার ভোর রাত থেকে রীতিমতো দ্বিগুণ হারে চলছে গোলাগুলি। ইউক্রেনের শিল্প ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং অন্যতম বড় শহর খারকিভেও লাগাতার হামলা করে চলেছে রাশিয়ার সেনা। এছাড়াও আম আদমির ঘর বাড়ি পর্যন্ত বাকি রাখছে না রুশ বাহিনী। সেখানেও হামলা করছে তারা। ফলে দফায় দফায় মৃত্যু আরও বাড়ছে ইউক্রেন জুড়ে। এদিকে আবার জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন ফুরোতে চলেছে। বেশিক্ষণ আর পাওয়া যাবে না অক্সিজেন, তাই সেই নিয়েও আতঙ্ক বাড়ছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে চাপ বাড়তে শুরু করেছে রাশিয়ার ওপর। ইতিমধ্যেই ফিফা জানিয়েছে, রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না৷ রাশিয়ার কোনও ক্লাব খেলতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়ছে উয়েফা৷ রুশ আগ্রাসনের নিন্দায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স সংস্থা, জুডো ফেডারেশন এবং বিশ্ব তায়কোন্ডো সংস্থা বিভিন্ন ভাবে পুতিনের কাছ থেকে সম্মান কেড়ে নিয়েছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁর ব্ল্যাক বেল্টও।