ইসলামাবাদ: আরও একবার পাকিস্তানে জঙ্গি নিশানায় স্কুল পড়ুয়ারা৷ ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের পেশোয়ারের একটি মাদ্রাসা৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে৷ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭০ জন৷
আরও পড়ুন- ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ায় এমন কন্টেন্ট ব্যান করুক ফেসবুক, চিঠি লিখে ফেসবুকের কাছে আর্জি ইমরানের
মঙ্গলবার স্থানীয় পুলিশ অফিসার জানান, পোশায়ারের দির কলোনির একটি মাদ্রাসায় বিস্ফোরণটি ঘটেছে৷ একটি প্লাস্টিক ব্যাগের মধ্যে বিস্ফোরক রেখে গিয়েছিল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। মাদ্রাসায় ক্লাস চলাকালীনই বিস্ফোরণটি ঘটে৷ মৃতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ আহতদের স্থানীয় রেডি রিডিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে৷ গুরুতর জখম হয়েছেন ৭০ জন৷ এর মধ্যে রয়েছে ১৯টি শিশু৷ বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ হাসপাতালের ডিরেক্টর তারিক বুরকি জানিয়েছেন, ৭ জন নিহতের মধ্যে রয়েছে ৪ জন শিশু। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও কোরানের ক্লাস চলছিল মাদ্রাসায়৷ ক্লাসে হাজির হয়েছিল বহু পড়ুয়া৷ এই মাদ্রাসায় প্রধাণত প্রাপ্ত বয়স্ক পড়ুয়াই আসে৷ এদিন ক্লাসে উপস্থিত ছিল শিশুরাও৷ পাকিস্তানের প্রথমসারির সংবাদপত্র ‘ডন’ এর খবর অনুযায়ী, ওই প্লাস্টিক ব্যাগে ৫ কেজি বিস্ফোরক রাখা ছিল। যার জেরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে৷ প্রসঙ্গত, গত রবিবার বালুচিস্তানে পর পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। ওই বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু হয়। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থার মধ্যে বিরোধী দলগুলির মিছিলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। গত ২১ অক্টোবর পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে একটি পাঁচতলা বিল্ডিং-এ বিস্ফোরণ হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ৫ জনের। আহত হন ২০ জন। করাচিতে মাসকান চৌরঙ্গী এলাকার কাছে গুলশন-ই-ইকবাল এলাকার বিস্ফোরণে বহুতলটির অনেকটাই ভেঙে পড়ে। কয়েক দিনের মধ্যে ফের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। কারা কেন এই বিস্ফোরণ ঘটালো তা নিয়ে তদন্তে শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন- “বন্ধু সঙ্গে এভাবে কথা বলা উচিত?”, ট্রাম্পের ‘ভারত নোংরা’ মন্তব্যের প্রতিবাদ বিডেনের
২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে পেশোয়ারের সেনা স্কুলে তালিবানি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল বহু স্কুল পড়ুয়ার৷ সেই ঘটনা আজও পেশোয়ারবাসীর মনে টাটকা৷ স্কুলটিকে জঙ্গি মুক্ত করতে সাত ঘণ্টা ধরে সেনা অভিযান চলানো হয়েছিল৷ সেই সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নওয়াজ শরিফ৷