হংকং: গণতন্ত্রের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই হংকং-এ আন্দোলন চলছে৷ সেই আন্দোলন ক্রমশই বড় আকার নিচ্ছে৷ রবিবার চিন সরকারের আনা জাতীয় নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিল থেকে ৫৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
এদিন কাউলুন শহরের জরডান থেকে মং কক পর্যন্ত মৌন মিছিলে সামিল হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে থেকেই ৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়৷ মিছিলের পথ আঁটকানোর চেষ্টা করে সশস্ত্র চিনা পুলিশ৷ প্রতিবাদীদের রুখতে তাঁদের উপর লঙ্কার গুঁড়োও ছড়ানো হয়৷ তবে পুলিশের পাল্টা দাবি, একাধিক জায়গায় প্রতিবাদীরা রাস্তা আটকানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁদের দেখে স্লোগান দেওয়া হয়েছে৷ প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে বেআইনি সমাবেশের অভিযোগ আনে পুলিশ৷
দীর্ঘদিন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল হংকং৷ ১৯৯৭ সালে এই অঞ্চলকে চিনের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়৷ এখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, চিনের মূল ভূখণ্ডের নাগরিকরা যেমন রাষ্ট্রের কড়া নজরে থাকেন, তেমনই হংকং-এর নাগরিকদেরও রাষ্ট্রের অধীনে আনতে চাইছে শি জিনপিং সরকার৷ হংকং-এর গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে৷ গত বছর থেকেই এই প্রতিবাদে উত্তাল হংকং৷
রয় চ্যান নামে বছর ৪৪ এর এক প্রতিবাদী বলেন, ‘‘চিন সরকার আমাদের দমন করতে চাইছে৷ কিন্তু আমদের উঠে দাঁড়াতেই হবে এবং হংকং-এর মানুষের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে৷’’
অন্যদিকে হংকং-এর পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা-ব্রিটেনের মতো একাধিক দেশ৷ নতুন আইন লাগু করে হলে চিনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন মার্কিং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
১৯৯৭ সালে ব্রিটেনের হাত থেকে চিনের হাতে সঁপা হয়েছিল হংকং-কে৷ এই উদ্দেশে ১ জুলাই মিছিল করার উদ্যোগ নেয় হংকং-এ মানুষ৷ কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ৷ এর পরই রবিবার মৌন মিছিলে সামিল হন কয়েক হাজার মানুষ৷