ইস্তানবুল ও আলেপ্পো: আশঙ্কা একটা ছিলই প্রথম থেকেই। সেটাই সত্যি হল। তুরস্ক এবং সিরিয়া, দুই দেশ মিলিয়ে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫০ হাজার। এর মধ্যে সবথেকে বেশি মৃত্যু তুরস্কে হয়েছে। তবে এই সংখ্যা যে এখানেই থেমে থাকবে এমনটা নয়। আশঙ্কা, এখনও ধ্বংসস্তূপের তলায় আরও মানুষ চাপা পড়ে আছেন। উদ্ধারকাজ চলতে থাকলে আগামী দিনে আরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার হবে। এমনিতেই যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দুই দেশে তা ভাষায় প্রকাশ করা মুশকিল।
আরও পড়ুন- সকলের অলক্ষ্যে কী ভাবে ইউক্রেন পৌঁছলেন বাইডেন? জানা গেল নেপথ্য কাহিনি
তথ্য বলছে, শুধুমাত্র তুরস্কে এখনও পর্যন্ত ৪৪ হাজার ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৯১৪ জনের। ভূমিকম্প আঘাত হানার ১৯ দিন পেরিয়ে গেলেও উদ্ধারকাজ ক্রমাগত চলছে। কিন্তু পরিবেশ যে ইতিবাচক তেমনটাও নয়। কারণ শৈত্যপ্রবাহ, ঠান্ডা এবং তুষারপাত চলছে। তাই উদ্ধারকাজ চালানোই কেমন কষ্টসাধ্য। তবুও সেই কাজ এতদিনে বন্ধ হয়নি বলেই জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্দোগান। তিনিই আশঙ্কা করেছিলেন যে, দুই দেশ মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াবে। অবশেষে তাই-ই হল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ফের তুরস্কে ভয়াল ভূমিকম্প! Turkey hit by another 6.3 magnitude earthquake” width=”853″>
গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের জন্য কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার একটা বড় অংশ। তারপর থেকে কয়েক দফায় ‘আফটার শক’ হয়েছে। প্রতিবারই রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫-এর ওপর ছিল। সবথেকে বেশি ভয়ানক কম্পন প্রথমবার এবং তারপর আরও দু’বারে হয়েছে। সেই মাত্রা ছিল ৭-এর ওপর। রাষ্ট্রপুঞ্জের অনুমান, শুধু তুরস্কেই ভেঙে পড়েছে ২ লক্ষের বেশি বাড়ি। আর সিরিয়ায় সেই সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। কতজন মানুষ আহত হয়েছেন তা এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।