মস্কো: আশঙ্কা সত্যি করে সম্মুখ সমরে রাশিয়া-ইউক্রেন৷ বৃহস্পতিবার সকালেই ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ এর পর থেকেই শুরু হয় হামলা৷ এদিকে যুদ্ধের আবহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির হুঁশিয়া দিয়ে বলেছিলেন, “আমরা কাউকে ভয় পাই না। কোনও কিছুতেই ভয় পাই না। কারও কাছে বশ্যতা স্বীকার করব না, কারও হাতে কোনও কিছু তুলেও দেব না।” আজ যুদ্ধ শুরু হতেই রাশিয়ার পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার গুলি করে নামানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন৷ অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পাল্টা দাবি, ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনা।
আরও পড়ুন- রাশিয়ান হামলায় মৃত্যু বাড়ছে! হেল্পলাইন চালু করল ভারত
আজ সকাল থেকেই একের পর মিসাইল এবং বোমারু বিমান নিয়ে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে মিসাইলের টুকরো। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইউক্রেন সেনা৷ তাঁদের দাবি, লুহানস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার পাঁচটি হামলাকারী বিমানকে গুলি করে নামিয়েছে তাঁরা। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের অন্তত ৭ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে৷ আহত হয়েছেন ৯ জন৷ বহু মানুষ নিখোঁজ৷ তিন দিক দিয়ে ইউক্রেনকে ঘিরে ফেলেছিল রুশ বাহিনী৷ দেড় থেকে দুই লক্ষ সেনা মোতায়েন রয়েছে ইউক্রেনের সীমান্তে।
আজ সকালে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার পরেই রাজধানী কিয়েভে পর পর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷ যদিও মস্কোর দাবি, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোনও বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে না৷ রুশ সেনার লক্ষ্য ইউক্রেনের সেনাঘাঁটি এবং অস্ত্রসম্ভার৷ প্রথম থেকে পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন, ইউক্রেন যেন অস্ত্র বর্জন করে৷ না হলে সামরিক অভিযান আটকানো প্রায় অসম্ভব৷ এর পর পশ্চিমের শক্তিধর দেশগুলো সতর্কবার্তা দিলেও তার তোয়াক্কা না করে সেনা অভিযান শুরু করেন পুতিন৷
এদিকে, দেশের নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখতে বাঙ্কার প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের এক সাংসদ৷ আবার বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার দাবি, ‘‘রাশিয়াকে সর্বশক্তি দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করব। আমরা জিতবই।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>