সাইবেরিয়া: ৪৬ হাজার বছর ধরে সুপ্তাবস্থায় ছিল তারা। কিন্তু আবার জেগে উঠছে এক ধরনের পোকা! জানা গিয়েছে, এটি আসলে এক ধরনের কৃমি। সাইবেরিয়া থেকে হিমায়িত অবস্থায় সেগুলিকে উদ্ধার করেন একদল বিজ্ঞানী। পরে ল্যাবরেটরিতে ফের বাঁচিতে তোলা হয়েছে তাকে। আসল ঘটনা বছর পাঁচেক আগের হলেও এতদিন বিষয়টি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা। কিন্তু এখন এই খবর সামনে আসতেই শুরু হয়েছে আতঙ্ক।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ধরনের পোকারা ছিল ক্রিপটোবায়োসিসে বরফ সমাধিতে। এই ধরনের রাশি রাশি পোকা নাকি এখন সাইবেরিয়ায় আছে। পারমাফ্রস্ট গললেই তারা ধীরে ধীরে বেরিয়ে পড়বে। গোল কৃমির মতো দেখতে এই পোকা নাকি তার ঘুম ভাঙলেই একঝাঁক বাচ্চা দিতে পারে। তাই স্বাভাবিকভাবেই নতুন কোনও অতিমারির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পোকাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় নেমাটোড বা রাউন্ডওয়ার্ম বলা হয়। এদের খালি চোখে দেখা যায় না, বিশেষ মাইক্রোস্কোপ লাগে। যারা গবেষণা করে এই ‘বৃদ্ধ’ কৃমিকে আবার বাঁচিয়ে তুলেছেন তাদের দাবি, এই প্রজাতির কৃমি এর আগে আবিষ্কৃত হয়নি।
কিন্তু এই কৃমির খোঁজ মিলল কী ভাবে? চলতি বছরের গোড়ার দিকে PLOS নামের একটি জেনেটিক্স জার্নালে এই বিষয় প্রকাশ পায়। জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে সাইবেরিয়ায় পলি জমা একটি জীবাশ্ম গর্ত থেকে বেশ কিছু উপাদান সংগ্রহ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তার মধ্যেই এই পোকা সুপ্ত অবস্থায় ছিল। এরপর জার্মানির এক গবেষক জানান, রেডিওকার্বন ডেটিং পদ্ধতি অবলম্বন করে জানা গিয়েছে, কৃমিগুলি ৪৬ হাজার বছর আগে বেঁচে ছিল। এত বছর তারা ক্রিপ্টোবায়োটিক অবস্থায় ছিল। প্রসঙ্গত, এই অবস্থা মানে হল জীবন ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়। কিন্তু প্রাণী এই অবস্থায় জল ও অক্সিজেন ছাড়াও কয়েক হাজার বছর বেঁচে থাকতে পারে। অনুকূল পরিবেশ পেলে ফের বেঁচে ওঠে।