নাইরোবি: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্যানিটাইজের পাশপাশি মাস্ক পরার মতো প্রোটোকল মেনে চলার পরামর্শ বহুদিন আগেই দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এছাড়াও প্রতিটি দেশের সরকারই ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা নিয়ে সচেতনতা প্রসারে বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে। তবে সেই নিয়ম অমান্য করে মাস্ক না পরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে তিনজনের মৃত্যু ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কেনিয়ার ছোট্ট শহর রিফ্ট ভ্যালিতে।
স্ট্যান্ডার্ড নিউজপেপারের সূত্রে জানা গেছে, মাস্ক না পরার জন্য এক মোটরসাইকেল ট্যাক্সি চালকের সঙ্গে বচসা বাঁধে কেনিয়া পুলিশের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই চালককে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। সেই বিষয়ে ৪০ বছরের লাজারুস কিরোপ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা হস্তক্ষেপ করলে এক পুলিশকর্মী গুলি চালান এবং মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। দ্য ডেলি নেশন নিউজপেপার সূত্রে মাস্ক না পরার জন্য পুলিশের ঘুষ নেওয়ার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। কিরোপের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিক্ষোভ। শতাধিক বাসিন্দা ওই পুলিশকর্মীর পিছু নিয়ে থানায় পৌঁছান। উত্তেজিত জনতা স্থানীয় পুলিশ প্রধানের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং থানার ওপর চড়াও হয়। সেই সময় আরও দু'জন গুলবিদ্ধ হয়েছেন বলে সংবাদসূত্রে জানা গেছে।
যদিও কেনিয়া পুলিশের তরফে বলা হয়েছে অন্য কথা। কেনিয়া পুলিশের মুখপাত্র চার্লস ওয়িনো একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে একজনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না বলেই মোটরসাইকেল ট্যাক্সি চালকদের জানানো হয়েছিল। সেই নিয়ম অমান্য করে একজন চালক দু'জন যাত্রী নিলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে যায়। তখন অন্য গাড়ির চালকরা পুলিশকে বাধা দেয়। এই সময় একজন চালক পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ ইনস্পেক্টর জেনারেল হিলারি মুত্যামবাই জানিয়েছেন, যে পুলিশ আধিকারিক গুলি চালিয়েছেন, তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।