গাজা: ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কয়েকদিন আগেই স্পষ্ট করেছিলেন যে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ তিনি থামাবেন না, বিরতির প্রশ্ন নেই। কিন্তু শেষমেষ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। আর এই ঘোষণা হতেই ২৫ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস। তাদের মধ্যে ১৩ জন ইজরায়েলি ও থাইল্যান্ডের ১২ জন নাগরিক রয়েছেন। তবে এই যুদ্ধবিরতি বেশিদিনের নয় বলে স্পষ্ট করেছেন নেতানিয়াহু সরকার।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি গাজার একাধিক হাসপাতাল হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল সেনাবাহিনী। যা নিয়ে তাদের বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু কোনও বিতর্কই তাদের হামলা করা থেকে আটকাতে পারেনি। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত লড়াই চলেছে এবং আইডিএফ এও জানিয়েছে, ৪ দিন পর ফের তারা হামলা শুরু করবে গাজা স্ট্রিপে। আসলে ৫০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার হামাসের প্রস্তাব মেনে ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যেই ৫০ জনকে মুক্তি দিতে হবে। সংঘর্ষবিরতি শুরুর পরেই অবশ্য পালটা আক্রমণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েল।
তবে আইডিএফ হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে কেন? তাদের যুক্তি, একাধিক হাসপাতালের নীচ থেকে গোপন সুড়ঙ্গের হদিস পাওয়া গিয়েছে, যা হামাসের বহু শীর্ষনেতার বাড়ির সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া ইজরায়েলের দাবি, বহু হাসপাতাল আসলে হামাসের গোপন ডেরা। হাসপাতালে তল্লাশি চালিয়ে তাদের অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।