ফ্লোরিডা: আমেরিকার অস্ত্র আইনের আরও এক নিশংস বলি। ২ বছরের শিশুর হাতেই খুন হলেন তার বাবা আমেরিকার ফ্লোরিডার বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী এক যুবক। জানা যাচ্ছে, সপ্তাহখানেক আগে হঠাৎই ওই শিশুটি হাতের নাগালে বাবার বন্দুকটি খুঁজে পায়। আর পাওয়া মাত্রই সেটা নিয়ে শুরু হয় খেলা। এইভাবে খেলতে খেলতে হঠাৎই ওই বন্দুক থেকে ছিটকে বের হয় গুলি। আর সেই গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শিশুটির বাবা। এই ঘটনার প্রকাশ্যে রাস্তায় কার্যত হতবাক স্থানীয় পুলিশ থেকে ওই যুবকের প্রতিবেশীরা সকলেই।
উল্লেখ্য, আমেরিকার অস্ত্র আইনের কারণে ইতিমধ্যে এই দেশে হঠাৎ করেই বেড়েছে গোলাগুলির ঘটনা। বিগত কয়েক সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই খবরে এসেছে একের পর এক স্কুলের মধ্যে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা। কোথাও সহপাঠী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলেরই এক ছাত্র গুলি করে খুন করেছে, কোথাও আবার বন্ধুর সঙ্গে লড়াইয়ের বদলা নিতে কলেজের মধ্যে চলেছে গুলি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে এই অস্ত্র আইনকে পুনরায় পর্যালোচনা দাবি উঠতে শুরু করেছে। এমতাবস্তায় সামনে এল আমেরিকার ফ্লোরিডার এই মর্মান্তিক ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সপ্তাহ খানেক আগে ফ্লোরিডার এই বাড়িতে পুলিশ পৌঁছে দেখতে পায় দুই বছরের ওই শিশুটির মা তাঁর স্বামীকে সিপিআর ট্রিটমেন্ট দিচ্ছেন। এরপর পুলিশি তৎপরতায় গুরুতর আহত ওই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা ২৬ বছর বয়সী ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাটিকে দেখে পুলিশের আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হলেও পরবর্তীতে সামনে আসে এই ভয়ঙ্কর তথ্য। পুলিশ আধিকারিকদের সবটা জানায় মৃত ওই ব্যক্তির বড় ছেলে। সে জানায় কিভাবে তার ছোটভাই ভুলবশত বন্দুকের ট্রিগারে চাপ দিয়ে ফেলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তাদের বাবার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সুত্রে খবর ওই পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। বাবা-মা সহ পরিবারে রয়েছে তিন সন্তান এবং সব থেকে ছোট শিশুটির বয়স মাত্র পাঁচ মাস। মে মাসের ২৬ তারিখ যেদিন এই ঘটনাটি ঘটে সেদিন প্রত্যেকে একই ঘরে ছিল এবং আগ্নেয়াস্ত্রটি ছিল নিহত ঐ ব্যক্তির ব্যাগের মধ্যে। সেই ব্যক্তির ব্যাগ হঠাৎই ঘাটতে শুরু করেন মৃত ওই ব্যক্তির মেজো ছেলে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তার হাতে আসে ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি। এরপর সে আপন মনে সেটি নিয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎই ট্রিগারে চাপ পড়ে যায়। আর তাতেই গুলিবিদ্ধ হন শিশুটির বাবা।