বস্টন: তিনি ছিলেন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। আর তাঁর গভীর সমুদ্রের অতলে গিয়ে ইতিহাস চাক্ষুষ করার ইচ্ছা ছিল অদম্য। তাই বেশি কিছু না ভেবেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য ২ কোটি টাকা দিয়ে সাবমেরিন ‘টাইটান’-এর টিকিট কেটেছিলেন পাক ধনকুবের শাহজাদা দাউদ। তবে সেই সাবমেরিন যাত্রায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর এবং বাকি চারজনের। এই চারজনের মধ্যে ছিল তাঁর ছেলে সুলেমানও। জানা গিয়েছে, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার কোনও ইচ্ছাই ছিল না তাঁর। বরং এই সাবমেরিন যাত্রার কথা শুনে সে চমকেই গিয়েছিল। তবে বাবার শখ মেটাতেই সে গিয়েছিল।
শাহাজাদার পরিবার জানিয়েছে, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে একেবারেই আগ্রহী ছিল না সুলেমান। প্রথম থেকেই সে রাজি ছিল না। কিন্তু পিতৃ দিবসে বাবাকে খুশি করার জন্য সে নিমরাজি হয়েই এই সাবমেরিনে উঠেছিল। এমনিতে পাকিস্তানের অন্যতম ধনকুবের শাহাজাদা। আর সুলেমানও বাবাকে পারিবারিক ব্যবসায় সাহায্য করত। দুজনের মধ্যে সম্পর্কও খুবই ভালো ছিল। তাই ফাদার্স ডে’র দিনই অভিযান শুরু হচ্ছে বলে শেষ পর্যন্ত সুলেমান তাঁর বাবার সঙ্গে যেতে রাজি হয়। কিন্তু ভাগ্যে যে তাঁদের এই মর্মান্তিক পরিণতি লেখা ছিল তা কে জানত। বাকি তিনজনের মতো এখন তারা দু’জনেও আটলান্টিকের অতলে হারিয়ে গিয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”সিকিমে হড়পা বান” width=”789″>
মার্কিন সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, মহাসাগরের জলের তলায় প্রায় ১৩ হাজার ফুট গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১ হাজার ৬০০ ফুট দূরে মিলেছে এই টাইটান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ। আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনীর দাবি, সমুদ্রের গভীরের ভীষণ জলের চাপে একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছিল সেটি। তবে অভিযাত্রীদের দেহ এখনই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আদৌ সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে।