অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাবার শখ মেটাতে চেয়েছিল ১৯ বছরের সুলেমান, এখন আটলান্টিকের অতলে নীরব

অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাবার শখ মেটাতে চেয়েছিল ১৯ বছরের সুলেমান, এখন আটলান্টিকের অতলে নীরব

বস্টন: তিনি ছিলেন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। আর তাঁর গভীর সমুদ্রের অতলে গিয়ে ইতিহাস চাক্ষুষ করার ইচ্ছা ছিল অদম্য। তাই বেশি কিছু না ভেবেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য ২ কোটি টাকা দিয়ে সাবমেরিন ‘টাইটান’-এর টিকিট কেটেছিলেন পাক ধনকুবের শাহজাদা দাউদ। তবে সেই সাবমেরিন যাত্রায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর এবং বাকি চারজনের। এই চারজনের মধ্যে ছিল তাঁর ছেলে সুলেমানও। জানা গিয়েছে, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার কোনও ইচ্ছাই ছিল না তাঁর। বরং এই সাবমেরিন যাত্রার কথা শুনে সে চমকেই গিয়েছিল। তবে বাবার শখ মেটাতেই সে গিয়েছিল। 

শাহাজাদার পরিবার জানিয়েছে, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে একেবারেই আগ্রহী ছিল না সুলেমান। প্রথম থেকেই সে রাজি ছিল না। কিন্তু পিতৃ দিবসে বাবাকে খুশি করার জন্য সে নিমরাজি হয়েই এই সাবমেরিনে উঠেছিল। এমনিতে পাকিস্তানের অন্যতম ধনকুবের শাহাজাদা। আর সুলেমানও বাবাকে পারিবারিক ব্যবসায় সাহায্য করত। দুজনের মধ্যে সম্পর্কও খুবই ভালো ছিল। তাই ফাদার্স ডে’র দিনই অভিযান শুরু হচ্ছে বলে শেষ পর্যন্ত সুলেমান তাঁর বাবার সঙ্গে যেতে রাজি হয়। কিন্তু ভাগ্যে যে তাঁদের এই মর্মান্তিক পরিণতি লেখা ছিল তা কে জানত। বাকি তিনজনের মতো এখন তারা দু’জনেও আটলান্টিকের অতলে হারিয়ে গিয়েছে।