১৭ শতকের তৈলচিত্রের হদিশ ডাস্টবিনে!

১৭ শতকের তৈলচিত্রের হদিশ ডাস্টবিনে!

জার্মানি: বহু বছরের পুরনো দু’টো তৈলচিত্রের স্থান হল ডাস্টবিনে! সম্প্রতি এমনই দু’টো তৈলচিত্র পাওয়া গেল রাস্তার ধারের ডাস্টবিন থেকে৷ এই ঘটনাটি ঘটেছে জার্মানিতে৷ 

শনিবার বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসে জার্মানির ব্যাভেরিয়ায় এক ব্যক্তি বাইকের ওয়ার্কশপের কাছে রাস্তার ধারের ডাস্টবিনে দু’টো তৈলচিত্র কুড়িয়ে পান। প্রায় ৩৫০ বছরের পুরোনো দু’টো শিল্পকর্মই বড় আকারের ফ্রেমে বাঁধাই করা ছিল। শৈল্পিক দিক দিয়ে বিচার করলে যা অত্যন্ত মূল্যবান। এসব শিল্পকর্ম জাদুঘর কিংবা আর্ট গ্যালারিতে জায়গা পাওয়ার কথা৷ এমনকি পুরনো ও দামি জিনিসের নিলাম ঘরগুলো এটি পেলে লুফে নিয়ে লাখো ডলারে বিক্রি করে দেব শৌখিন শিল্প প্রেমীদের কাছে। অথচ ১৭ শতকের এমনই দু’টো মূল্যবান তৈলচিত্র, যা কিনা কারও দেওয়ালে শোভা পেলেও হত, সেটাই রাস্তার ধারে ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে পেলেন এক ব্যক্তি৷ কুড়িয়ে এনে শিল্পকর্ম দু’টো কোলন শহরের পুলিশের হেফাজতে দিয়ে দেন তিনি।

ঘটনাটি নিয়ে তদন্তে নামে জার্মান পুলিশ। তৈলচিত্র দুটো বিশেষজ্ঞদের কাছেও পাঠায় পরীক্ষা করার জন্য। বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো এই দুটো শিল্পকর্ম আসল, কোনও রেপ্লিকা নয়৷ এর দামও বেশ চড়া। যা শুনে অবাক হয়ে যায় জার্মান পুলিশ৷ জার্মানির পুলিশ জানায়, দু’টো তৈলচিত্রের একটি ডাচ চিত্রকর স্যামুয়েল ভন হুগস্ট্রাটেনের আঁকা লাল রঙের টুপি পরা এক বালকের মুখের ছবি৷ ২০১৯ সালে লন্ডনের একটি নিলামে স্যামুয়েলের একটি শিল্পকর্মের দাম উঠেছিল ৬৯ হাজার ডলার। অন্য একটি তৈলচিত্র ইতালিয়ান চিত্রকর পিয়েত্রো বেল্লোত্তির আঁকা। 

এখন প্রশ্ন হল, ওই দু’টো তৈলচিত্র রাস্তার ধারের ডাস্টবিনে কীভাবে এল? কে বা কারাই বা ফেলে গেল? আসল এবং মূল্যবান হওয়া সত্ত্বেও কেন ফেলে দেওয়া হল? জার্মানির পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে নেমে গুরুত্বপূর্ণ এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যর্থ। এমনকি এখনও এই দামি শিল্পকর্ম দু’টোর দাবিদারকেও খুঁজে পায়নি৷ এই তৈলচিত্র দু’টো সম্পর্কে তথ্য পেতে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে কারও কোনও তথ্য জানা থাকলে, পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + 4 =