করোনাকালে চরম দারিদ্রে ডুবছে ১৫ কোটি মানুষ, আশঙ্কা বিশ্ব ব্যাঙ্কের

করোনাকালে চরম দারিদ্রে ডুবছে ১৫ কোটি মানুষ, আশঙ্কা বিশ্ব ব্যাঙ্কের

28b7e9a0f86c6e6c3d16e3d6bcaa79e0

নিউ ইয়র্ক: করোনা প্যান্ডেমিক বদলে দিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিকে৷ লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন৷ সেই সকল কর্মহীন মানুষগুলো ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে দারিদ্রের অন্ধকারে৷ করোনা প্যান্ডেমিকের জেরে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বের ১৫০ মিলিয়ন বা ১৫ কোটি মানুষ চরম দারিদ্রতার মধ্যে ডুবে যাবে৷ এমনই অশনি সংকেত দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক৷ এই অবস্থায় দেশগুলিকে এক পৃথক অর্থনীতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে৷ কোভিড পরবর্তী অধ্যায়ে মূলধন, শ্রম, দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে নতুন পথে অগ্রসর হতে হবে৷ 

আরও পড়ুন- চলতি বছরের শেষেই আসছে ভ্যাকসিন, আশার আলো দেখাচ্ছে WHO

ওয়াশিংটনের এক গ্লোবাল লিডারের কথায়, ‘‘কোভিড অতিমারীর জেরে চলতি বছর ৮৮ মিলিয়ন থেকে ১১৫ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্রতার শিকার হতে চলেছে৷ অর্থনৈতিক সংকোচনের উপর নির্ভর করে এই সংখ্যাটা ১৫০ মিলিয়নেও পৌঁছে যেতে পারে৷’’ দ্বিবার্ষিক ‘পভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি’ রিপোর্ট অনুসারে, এই অতিমারী সারা বিশ্বকে গ্রাস না করলে আজ দারিদ্রের হার ৭.৯ শতাংশ হ্রাস পেত৷ কিন্তু এই অতিমারী এবং আর্থিক মন্দার জেরে সারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১.৪ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্রের সংকটে পড়বেন৷ এমনটাই বললেন ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের গ্রুপ প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস৷ তিনি আরও বলেন, দারিদ্রের হার কমিয়ে উন্নয়নের পথে ফিরতে হলে দেশগুলিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য তৈরি হতে হবে৷ মূলধন, শ্রম, দক্ষতা এবং উদ্ভাবনকে নতুন ব্যবসা ও সেক্টকে কাজে লাগাতে হবে৷   

আরও পড়ুন- হাসপাতাল থেকে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প, মাস্ক সরিয়ে বললেন, ‘করোনাকে ভয় পাবেন না’

ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি আঘাত আসতে চলছে মধ্যম আয়ের দেশগুলির উপর৷ উল্লেখজনক সংখ্যার মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে পৌঁছে যাবে৷ রিপোর্ট বলছে, সারা বিশ্বে ৮২ শতাংশ দেশই মধ্যম আয়ের৷ কোভিড পরিস্থিতি এবং তার উপর আবহাওয়া পরিবর্তনের চাপের মধ্যে নির্দিষ্ট নীতি ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্রসীমা হ্রাসের যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল, তা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব৷ বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্রের হার ৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷

বিশ্ব ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে, দেশবাসীর আয় সম্পর্কিত সাম্প্রতিক তথ্য ভারত দেয়নি। তাতে এ দেশের পরিস্থিতি জানা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। ‘বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ ভারতের কাছে তথ্য নেই! অথচ এ দেশে দরিদ্রের সংখ্যা যথেষ্টই। এ অবস্থায় অসম্পূর্ণ তথ্য, ভারতের পরিস্থিতি বোঝার পক্ষে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।’’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *