করোনা মহামারীতে চরম দারিদ্রের মুখে পড়বে ১০ কোটি মানুষ, দাবি ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের

করোনা মহামারী ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। কবে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে তার কোনও নিশ্চয়তা। এই অনিশ্চয়তার জেরে মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খবরের শিরোনামে শুধু ভেসে আসছে বেকারত্ব। করোনার জেরে বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের কর্মী ছাটাই করেছে। শুধু তাই নয়, বহু ছোট, মাঝারি সংস্থা ক্ষতি নিতে না পেরে ঝাঁপ বন্ধ করেছে। বহু মানুষ বেকার হয়েছে।এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কের খবর দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির জেরে ১০ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে চলে যাবে। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে আরও ভয়ানক হতে পারে অবস্থা। 

 

ওয়াশিংটন: করোনা মহামারী ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। কবে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই অনিশ্চয়তার জেরে মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খবরের শিরোনামে শুধু ভেসে আসছে বেকারত্ব। করোনার জেরে বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের কর্মী ছাঁটাই করেছে। শুধু তাই নয়, বহু ছোট, মাঝারি সংস্থা ক্ষতি নিতে না পেরে ঝাঁপ বন্ধ করেছে। বহু মানুষ বেকার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কের খবর দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির জেরে ১০ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে চলে যাবে। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে আরও ভয়ানক হতে পারে অবস্থা। 

আরও পড়ুন-   হাসপাতালের বেডে শুয়েই প্রেমিকাকে ‘আই ডু’ বললেন করোনা জয়ী

বিশ্ব ব্যাঙ্কের সভাপতি ডেভিড মালপাস বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, করোনা আবহের জেরে বিপুল সংখ্যক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে খাবারের খামতি। চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে অনিশ্চয়তা। এখন মানুষ শুধু ঠিকে থাকার লড়াই চালাচ্ছেন। এরফলে মানুষর জীবন যাত্রার মান একদম তলানিতে গিয়ে ঠেকবে। উদাহরণ ভারতের প্রসঙ্গ টানা হয়েছে। জানানো হয়েছে, ভারতের ক্ষেত্রে দিনে পরিবারের আয় ১৪৪ টাকা বা তার থেকে কম আয় বলে জানানো হয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে। 

আরও পড়ুন- ভ্যাকসিন উৎপাদনে ভারতের অংশীদারিত্ব চাইছে রাশিয়া, কিন্তু কেন জানেন?

বিশ্ব ব্যাঙ্কের সভাপতি ডেভিড মালপাস জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সব থেকে বিপাকে পড়বেন দরিদ্র দেশগুলো। দ্রুত দরিদ্র দেশগুলোর ওপর থেকে ঋণের বোঝা কমানো প্রয়োজন। ঋণদাতা বা সংস্থাগুলো দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রথম বিশ্বের দেশগুলো জানিয়েছে, তারা চলতি বছর কোনও ঋণ আদায় করবে না। বরং কি করে দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্য করা যায়, সেই কথা ভাববে। তবে তাতেও পরিস্থিতির বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না বলেই মালপাস আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − eleven =