আলিঙ্গনেই সারবে বড় বড় রোগ! কখন, কাকে, কিভাবে? জানুন

কলকাতা: জাস্ট জড়িয়ে ধরলেই কমে যাবে চিকিৎসার সমস্ত খরচ!কিভাবে জড়িয়ে ধরবেন? কাকে জড়িয়ে ধরবেন?আলিঙ্গন কিভাবে স্বস্তি দেবে আপনাকে?কতক্ষণ একে অপরকে জড়িয়ে থাকবেন তারও কিন্তু সময়…

কলকাতা: জাস্ট জড়িয়ে ধরলেই কমে যাবে চিকিৎসার সমস্ত খরচ!কিভাবে জড়িয়ে ধরবেন? কাকে জড়িয়ে ধরবেন?আলিঙ্গন কিভাবে স্বস্তি দেবে আপনাকে?কতক্ষণ একে অপরকে জড়িয়ে থাকবেন তারও কিন্তু সময় আছে।

আপনার কি পর্যাপ্ত ঘুম হয় না? ঠিকঠাক বিশ্রাম নিতে পারেন না? মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে? ডিপ্রেসড হয়ে যাচ্ছেন? ফ্রাস্ট্রেশনে ভুগছেন? কর্মব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপে ভোগেন কমবেশি সকলেই। কিন্তু এই সব সমস্যার সমাধান হতে পারে এক নিমেষে, তাও আবার একদম বিনামূল্যে। শুধু একটা আলিঙ্গন। টাইট হাগ। অনেকের কথায় জাদু কি ঝাপ্পি। হ্যাঁ এই জড়িয়ে ধরাই সব সমস্যার সমাধান করতে পারে।

না একদম মজা নয়। হালের সমীক্ষা বলছে, এই আলিঙ্গন শুধুমাত্র আবেগ প্রকাশের মাধ্যমই নয়। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মানসিক এবং শারীরিক বিকাশে নানা ভাবে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, মানসিক চাপ কমাতেও নাকি আলিঙ্গনের জুড়ি মেলা ভার! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সবকিছু ঘটে একটা কারণে। প্রিয়জনের সঙ্গে আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়। যা মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে।

কিন্তু কতক্ষণ ধরে আলিঙ্গন করবেন সেটাও হবে হিসেব মেনে? সমীক্ষা বলছে ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় ধরে আলিঙ্গন করলে মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

তাই, অফিসের চাপ, সংসারের চাপ অথবা ভালো ঘুমের জন্য আলিঙ্গনেই ভরসা রাখুন। এমনকি হৃদ্‌যন্ত্র ভাল রাখতেও আলিঙ্গন উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আলিঙ্গন করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, হৃদ্‌স্পন্দনের হারও থাকে কন্ট্রোলে। এর সঙ্গে আপনি কি জানেন জড়িয়ে ধরলে বিষণ্ণতা কাটিয়ে ওঠা যায়। অনেক সময়েই অকারণে মনখারাপ লাগে, তখন প্রিয়জনের সঙ্গে একটা আলিঙ্গন আপনার মন ভাল করে দিতে পারে।দাঁড়ান এখনও বাকি আছে। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন, আলিঙ্গন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
মানে যে কোন রোগেই আলিঙ্গন আমাদের স্বস্তি দিতে পারে আমাদের অনেক অসুখ ভালো করার চাবিকাঠি জাস্ট কয়েক সেকেন্ড জড়িয়ে ধরে থাকা।

দেখবেন, অনেক সময়ে অজানা কারণেই উদ্বেগ বাড়ে। সেক্ষেত্রে ভয় কমাতেও সাহায্য করে এই অভ্যাস। তাহলে আর বেশি ভাবনা চিন্তা নয়। সুস্থ থাকতে ভালো থাকতে বন্ধু হোক বা প্রিয়জন, স্বামী হোক কিংবা স্ত্রী, প্রেমিক হোক কিংবা প্রেমিকা। দিনে অন্তত দুবার আলিঙ্গন করতে একে অপরকে একদম ভুলবেন না