ডেঙ্গির ওপর জিকা ভাইরাসের হানা! পার্থক্য বুঝবেন কীভাবে?

কলকাতা: বর্ষা নামতেই দুই রোগের জবরদস্ত প্রকোপ৷ ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাস৷ এই রোগের হাত থেকে বাঁচতে হবে খুব মন দিয়ে শুনুন এই রিপোর্ট৷ জিকা ভাইরাসের…

কলকাতা: বর্ষা নামতেই দুই রোগের জবরদস্ত প্রকোপ৷ ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাস৷ এই রোগের হাত থেকে বাঁচতে হবে খুব মন দিয়ে শুনুন এই রিপোর্ট৷ জিকা ভাইরাসের মতো ডেঙ্গিও হয় মশার কামড় থেকেই৷ তাহলে এই দুই রোগের মধ্যে পার্থক্য বুঝবেন কীভাবে? বর্ষাকালে জিকা ভাইরাসের উপদ্রপ বেশি হয়। এমন পরিস্থিতিতে মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ডেঙ্গি এবং জিকা- উভয়ই ভাইরাসজনিত রোগ এবং মশার কামড়ের কারণে হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন দুই রোগের লক্ষণ এবং শরীরের ক্ষতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

জিকা ভাইরাস এডিস অ্যালবোপিকটাস মশার কামড়ে ছড়ায়৷ এই রোগটি ছোঁয়াচে এর মানে এই রোগটি এক রোগী থেকে অন্য রোগীতে ছড়িয়ে পড়ে৷ যে কেউ জিকা সংক্রমিত হতে পারে৷ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে৷ ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে কিন্তু রোগটি ছোঁয়াচে নয়৷ জিকা হল এক ধরনের আরএনএ ভাইরাস এবং এটি গর্ভবতী মায়ের থেকে তার শিশুর মধ্যে নাভির মাধ্যমে যেতে পারে। রক্তের মাধ্যমেও জিকা ভাইরাস একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়াতে পারে। তাই খুব সাবধান৷ জিকা ডেঙ্গিও হয় মশার কামড়ে। কিন্তু এটা একজনের থেকে আরেকজনের মধ্যে ছড়ায় না। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে কিছু রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট কমে যেতে পারে। এর ফলে মৃত্যু হতে পারে। বর্ষাকালে অনেক জায়গায় জল জমে থাকে বলে ডেঙ্গির ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঠিকমতো চিকিৎসা হলে ডেঙ্গি এক সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি শক সিনড্রোমও হতে পারে, যা মারাত্মক। এবার আসি এই দুই রোগের লক্ষণে৷

জিকা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে অল্প জ্বর, শরীরে ফুসকুড়ি, চোখে লালভাব,পেশি এবং জয়েন্টে ব্যথা, মাথাব্যথা হয়৷ ৮০ শতাংশের বেশি জিকা ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের ক্ষেত্রে প্রথম উপসর্গ হিসেবে জ্বরই ধরা পড়ে। এছাড়াও শরীরের র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হতে পারে। এই রোগের এখনও কোনও চিকিৎসা নেই। ডেঙ্গির ক্ষেত্রেও কিন্তু লক্ষণ খানিকটা একইরকম৷ মাত্রাতিরিক্ত জ্বর, শরীর বা জয়েন্টে ব্যথা, মাথাব্যথা, পেট ব্যথা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, বমি, কম প্লেটলেট৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *