শাম্মী হুদা: দূরপাল্লার ট্রেনের গতিবিধি নিয়ে রেলযাত্রীদের ক্ষোভের শেষ নেই। যদিও বা সময়ে ছাড়ল পৌঁছাতে পৌঁছাতে বেলা করে দিল। এ অভিযোগ চলেই আসছে, চেষ্টা করেও রেলওয়ে কোনও সমাধান সূত্র খুঁজে পায়নি, তাই নিরুত্তর থেকেছে। তবে পরিস্থিতিতে বদল আনতে সম্প্রতি ইসরো-র সঙ্গে কোলাবোরেশনে গিয়েছে ভারতীয় রেল। তারপর প্রয়োজন মাফিক নতুন সিস্টেমও চালু হতে চলেছে।
ইসরোর বদান্যতায় এবার থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের ছাড়া গন্তব্যে পৌঁছানোর ও যাত্রাপথের হুবহু জানত পারবে রেলওয়ে কন্ট্রোলরুম। এসব জানার জন্য এক ধরনের যন্ত্র ইতিমধ্যেই ইসরো তৈরি করে ফেলেছে।পরীক্ষামূলক ভাবে যার ব্যবহার শুরু হয়েছে গত আট জানুয়ারি। নয়া দিল্লি-পাটনা, নয়া দিল্লি-অমৃতসর, দিল্লি-জম্মু, বৈষ্ণোদেবী-কাটরা-বান্দ্রা এক্সপ্রেসে। খুব শিগগির এই ট্রায়াল রান ছেড়ে আরও অনেক মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন এই যন্ত্রের সুবিধা পেতে চলেছে।
এই সেন্ট্রাল সিস্টেমের সুবিধার অনেক দিক রয়েছে। গোটা কাজটিই করবে মেশিন, মানুষের এখানে কিছুই করার নেই। যেমন ধরা যাক, দিল্লির সরাইকেলা স্টেশন থেকে সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস ছেড়েছে, যেটির গন্তব্য শিয়ালদহ স্টেশন। এখন ট্রেনটি ঠিক কোথায় রয়েছে,সামনে কতগুলি স্টেশনে স্টপেজ দেবে, সেগুলির নাম, কখন গন্তব্যে পৌঁছাবে এবং অবশ্যই তার গতিবেগের বিশদ বিবরণ দেবে এই যন্ত্র।যার নাম গগন জিও পজিশনিং সিস্টেম। ট্রেনের গতিবিধির যাবতীয় আপডেট পৌঁছে যাবে রেলওয়ের সেন্টাল সার্ভারে।
আগে এসব কাজ রেলের কর্মীরাই করতেন।সাধারণত স্টেশন মাস্টার ও কন্ট্রোলারের দায়িত্বে থাকতো গোটা বিষয়টি। তাই সেন্ট্রাল সার্ভারে কিছুই জমা পড়ত না, তবে এই নতুন যন্ত্র এবার ভারতীয়রেলকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক আধুনিক করে দেবে। রেলের নেটওয়ার্কে এবার ট্রেনের গতিবিধি যেমন জানা যাবে, তেমনই তা উন্নতও করা যাবে। কন্ট্রোল রুমের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে রক্ষীবিহীন লেবেল ক্রসিংয়ের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করবে ইসরোর কোলাবোরেশন।