কলকাতা: বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে চ্যাট হোক কিংবা অফিসের কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ, নিত্য দিনের কাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে হোয়াটসঅ্যাপ। সাধারণ আড্ডা থেকে শুরু করে ভয়েস এবং ভিডিও কল, সবকিছুর জন্য হোয়াটসঅ্যাপই এখন ভরসা আট থেকে আশি সকলের। তবে এবার সেই ম্যাসেজিং অ্যাপ নিয়েই আশঙ্কার মেঘ, কারণ নতুন বছরে বড়োসড়ো বদল আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হচ্ছে, যা না মানলে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মিলবে না হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা। একাধিক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।
ইউজার ডাটা প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে একাধিক বদল আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। বদল গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, কিভাবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকের ডেটা প্রসেস করবে, বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কিভাবে ফেসবুক পরিচালিত এই অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের চ্যাট জমিয়ে রাখবে, এইসবের জন্য ‘এগ্রি’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখন আশংকার ব্যাপার এটাই, এই এগ্রি বাটনে ক্লিক করলে সমস্ত তথ্য ফেসবুকের হাতে চলে যাবে বলে অনুমান। তাই যারা নিজেদের ব্যক্তিগত পরিসরে রাখার জন্য বা তথ্য পাচারের ভয়ে ফেসবুক ব্যবহার করতেন না, শুধু হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতেন, তাদের সমস্ত তথ্য ফেসবুকের কাছে আপনেআপ চলে যাওয়ার ভয় থেকে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এইভাবে হোয়াটসঅ্যাপ মারফত ফেসবুক গ্রাহকদের যে কোনো রকম তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। তার মধ্যে গ্রাহকের ঠিকানা, ফোন নম্বর, পছন্দ এবং অপছন্দের তালিকা সহ কে কার সঙ্গে কি কথা বলছে, ছবি এবং ভিডিও তথ্য চলে যেতে পারে ফেসবুকের কাছে। এমনকি গ্রাহক কোথা থেকে জিনিসপত্র কিনছেন, তার পেমেন্ট কোথা থেকে করছেন, কত টাকা পেমেন্ট করছেন আর কিভাবে পেমেন্ট করছেন সব তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ভারতীয় নির্বাচনে ফেসবুকের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় হয়েছে দেশ থেকে বিশ্ব। ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। হোয়াটস্যাপের এই শর্ত শঙ্কা সাধারন মানুষ কিভাবে কাটিয়ে উঠবেন এখন সেটা বলা খুব মুশকিল। ভবিষ্যতে এক্ষেত্রে কি করনীয় সেটা বোঝাও এখন এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না।