নয়াদিল্লি: ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা ইজরায়েলি স্পাইওয়ার নিয়ে ব্যাখা চাইল কেন্দ্র৷ চলতি বছরের শুরুতেই এই ব্যখ্যা চাওয়া হয়েছে৷ কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, গোপনীয়তার নিয়ম লঙ্ঘন করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা পুরোটাই বিভ্রান্তকর, সেক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
একটি বিবৃতিতে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার এবং গোপনীয়তার অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত সরকার৷ তাই কোনোভাবেই তাদের গোপনীয়তা যাতে প্রকাশিত না হয় এবং এরফলে কোনো নিরাপরাধ নাগরিককে যাতে হেনস্থা হতে না হয়, তারজন্য রয়েছে পর্যাপ্ত সুরক্ষা৷ সেই আইন এবং নিয়ম অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ করবে সরকার৷ যদিও নিরাপত্তার বিষয়টি মানতে নারাজ দুই ভুক্তভোগী৷
Ministry of Home Affairs: Some statements have appeared based on reports in media regarding breach of privacy of Indian citizens on WhatsApp. Attempts to malign govt for reported breach are completely misleading,govt will take action against any intermediary for breach of privacy pic.twitter.com/pwKOXDa4SW
— ANI (@ANI) October 31, 2019
ইজলায়েলের সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএও স্পাইওয়ার ব্যবহার করেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে এনএসও-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মূল সংস্থা ফেসবুক৷ তাদের তরফে বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তি মানবধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার লাইসেন্স পায়নি এবং তেমনভাবে তৈরিও নয়৷ শুধুমাত্র সরকারী সংস্থাগুলির দেখাশোনা এবং আইনসঙ্গত করার লাইসেন্স রয়েছে৷
ফেসবুকের তথ্য অনুসারে পেগাসাস স্পাইওয়্যারটি ইজরায়িলি সংস্থাএনএসওর তৈরি, যা ফোনে গোপনভাবে ফোনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়, চলতি বছরের গোড়ার দিকে, হ্যাকিং-এর মাধ্যমে ভারতের বহু ব্যবহারকারী, যেমন, সাংবাদিক, সমাকর্মী এবং উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকে টার্গেট করেছে ইজরায়েলি স্পাইওয়ার৷ এপ্রিলের দু সপ্তাহ ধরে, তাঁদের ওপর নজরদারি চালানো হয়েছে বলে হয়েছে বলেও অভিযোগ৷