নয়াদিল্লি: ‘পেগাসাস’ নামক একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভারতের একাধিক বিরোধী দলনেতা, মন্ত্রী সহ ৪০ জনেরও বেশি সাংবাদিক, শিল্পপতি, সমাজকর্মী ও বিচারপতিদের ফোনে আড়ি পাতার মত ঘটনা ঘটেছে। তালিকায় একদিকে যেমন রয়েছেন, ‘হিন্দুস্তান টাইমস’, ‘ইন্ডিয়া টুডে’, ‘নেটওয়ার্ক ১৮’, ‘দ্য হিন্দু’ সহ একাধিক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকরা, অন্যদিকে রয়েছেন, রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, বিখ্যাত ভাইরোলজিস্ট গগণদীপ ক্যাঙের মত ব্যক্তিত্ব। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় গোটা দেশ। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছে বিরোধীরা। তবে আগে জানতে হবে কী এই পেগাসাস স্পাইওয়্যার।
পেগাসাস কী?
‘পেগাসাস’ হচ্ছে ইজরায়েলী সংস্থা এনএসও-র তৈরি একটি সফটওয়্যার যার মাধ্যমে ফোনে আড়ি পাতা যায় বা ফোন হ্যাক করা যায়। এই প্রজুক্তি ব্যবহার করে সহজেই যে কোনও ফোনের সমস্ত তথ্য হাতিয়ে দেওয়া সম্ভব। তবে অবশ্যই ফোনটি স্মার্টফোন হতে হবে। এর মাধ্যমে ফোনের ভয়েস কল ও হোয়াটসঅ্যাপ ডেটা-সহ সমস্ত তথ্য কয়েক মিনিটের মধ্যে হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব। সবথেকে আতঙ্কের বিষয়, গোটা প্রক্রিয়াটি এতটাই গোপনে হয় যে, ব্যবহারকারী কোনও রকম আন্দাজ পায় না যে তাঁর ফোনের সঙ্গে কী হচ্ছে। এতএব, অজান্তেই তাঁর সমস্ত গোপন তথ্য কয়েক মিনিটে চলে যায় অন্যের হাতে।
আরও পড়ুন- উপনির্বাচনের প্রস্তুতি? হঠাৎ শহরের কোভিড টিকাকেন্দ্র পরিদর্শনে মমতা
পেগাসাস কীভাবে কাজ করে?
যারা এটি নিয়ন্ত্রণ করে তাঁরা নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনে একটি লিংক পাঠায়। সেটিতে জেনেশুনে তো বটেই, অজান্তে ক্লিক করে ফেললেই ফোনে পেগাসাস ইনস্টল হয়ে যায়। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ফোনের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ চলে যায় হ্যাকারদের হাতে। শুধু ফোনে কথোপকথনই নয় হোয়াটসঅ্যাপে কী লেখা হচ্ছে, সে বিষয়েও এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে জানা যায়৷ এমনকী যে ফোনটি হ্যাক করা হয়েছে সেই ফোনে কী তথ্য বা ছবি রয়েছে সেটাও দেখা যায়৷ অথচ যাঁর ফোন হ্যাক করা হয়েছে, তিনি কিছু বুঝতেই পারবেন না৷