নয়াদিল্লি: বিপুল আর্থিক সঙ্কট কাটাতে দিশেহারা ভারতের দুই প্রথম সারির টেলিকম সংস্থা৷ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ (এজিআর) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকারকে লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম ফি বাবদ বকেয়া, ফাইন ও সুদ দিতে গিয়ে বড়সড় লোকসানের মুখে পড়েছে টেলিকম সংস্থা ভোডাফোন আইডিয়া ও ভারতী এয়ারটেল৷ এই অবস্থায় পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর উপায় নেই বলেই জানিয়েছে সংস্থা দুটি৷ আবার এবিষয়ে কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের আবেদনও জানায় তারা৷ টেলিকম সংস্থা দুটিকে আশ্বস্ত করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷
সূত্রের খবর টেলিকম সংস্থাদুটিকে সাহায্যের জন্য তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় সচিব পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়৷ সংস্থাদুটির আর্থিক ভারসাম্য ধরে রাখতে এই কমিটি থেকেই ন্যূনতম গ্রাহক মাশুলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ অর্থাৎ প্ল্যানের ভ্যালিডিটি থাকাকালীন রিচার্জ ব্যালান্স শেষ হয়ে গেলেই ন্যূনতম টাকা দিয়ে রিচার্জ করে সিমকার্ড অ্যাক্টিভ রাখতে হবে৷ সরকার ও ব্যবসা দুদিকেই ভারসাম্য বজায় রাখতে এখন এই রাস্তাই বেছে নিতে চাইছে সংস্থাদুটি৷ যদিও প্রথম থেকেই ন্যূনতম গ্রাহক মাশুল নীতির বিরোধি ট্রাই জানিয়েছে, এবিষয়ে তাদের কাছে কোনো রকম প্রস্তাব কেন্দ্রীয় টেলিকম দপ্তর পাঠায়নি৷
যদিও এই মুহূর্তে ভারতে সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সমর্থন করে জানিয়েছে যে এই মুহূর্তে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার মত পর্যাপ্ত সম্পত্তি আছে দুটি সংস্থার কাছেই৷ প্রয়োজনে সেই সম্পত্তি বিক্রি করেই ঋণ শোধ করতে পারবে তারা৷
অন্যদিকে, ভোডাফোন-এর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার নিক রিডের করা এক মন্তব্য উল্লেখ করে সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, মূলত ইউরোপের বাজারকে অগ্রাধিকার দিতে অন্যান্য দেশ থেকে সরে আসতে চাইছে ভোডাফোন গোষ্ঠী৷ ভারতের ব্যবসাতেও আর অর্থ লগ্নি করতে চাইছেনা তাঁরা৷ গত মে মাসে ভোডাফোন তাদের নিউজিল্যান্ডের ব্যবসা ২২০ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করে দিতেও রাজি হয়৷ সবমিলিয়ে টেলিকম সংস্থা দুটির সামগ্রিক সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ কি হয় তাভবিষ্যতই বলবে৷