কলকাতা: বোকা বাক্সর দর্শকা এখন থেকে নিজের ইচ্ছামতো চ্যানেল দেখতে পারবেন৷ আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে চালু হবে এই নিয়ম৷ কেবল পরিষেবা চালু রাখতে গেলে গ্রাহকে ১৫৪ টাকা বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে৷ ওই টাকায় পাওয়া যাবে ১০০টি ফ্রি টু এয়ার চ্যানেল৷ ট্রাইয়ের নির্দেশ মতো ১০০টি ফ্রি টু এয়ার চ্যানেলের পর যদি কেউ পে- চ্যানেল নেন, তাহলে তাঁকে ২৫টি পর্যন্ত পে-চ্যানেলের জন্য ‘নেটওয়ার্ক ক্যাপাসিটি ফি’ বাবদ ২০ টাকা ও কর দিতে হবে৷ গ্রাহক একটি পে-চ্যানেলই নিন বা ২৫টি, খরচ ওই একই৷
এবার একনজরে দেখেনিন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য৷
- শুরুতেই ১০০টি ফ্রি টু এয়ার চ্যানেলের জন্য গ্রাহককে বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে ১৩০ টাকা। ১৮ শতাংশ জিএসটি সহ সেই খরচ মোট দাঁড়াবে ১৫৪ টাকা।
- এই ফ্রি চ্যানেলগুলির মধ্যে দূরদর্শনের ৩৩টি আঞ্চলিক চ্যানেল থাকবে। থাকবে সংবাদ, ধর্ম, খেলা, বিনোদনের মতো সাতটি ভাগের পাঁচটি করে মোট ৩৫টি চ্যানেল। বাকি ৩২টি ফ্রি টু এয়ার চ্যানেল বেছে নেওয়ার অধিকার আছে গ্রাহকের।
- এরপর পে-চ্যানেল বাছাই পর্ব। এর জন্য গ্রাহক মাসে সর্বাধিক ১৯ টাকা খরচ করবেন। সর্বনিম্ন পে-চ্যানেলের খরচ ৩৪ পয়সা।
- বিভিন্ন চ্যানেল সংস্থা তাদের চ্যানেলগুলিকে নিয়ে আবার ছোট ছোট প্যাকেজ তৈরি করেছে। সেখান থেকেও গ্রাহক চ্যানেল পছন্দ করতে পারেন।
- ট্রাই নিয়ম করেছিল, চ্যানেল কর্তৃপক্ষের ঘোষিত প্যাকেজে যে চ্যানেলগুলি থাকবে, তাদের প্রত্যেকটির নিজস্ব দরের যোগফলের ৮৫ শতাংশের নীচে নামবে না প্যাকেজের দর। অর্থাৎ, যদি কোনও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ তাদের ১০ টাকা দামের ১০টি চ্যানেলের প্যাকেজ করে, তাহলে তার দর ৮৫ টাকার নীচে নামতে পারবে না। কিন্তু এই বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই আপাতত নিয়মে স্থগিতাদেশ রেখেছে ট্রাই।
- কোনও ব্যক্তি ফ্রি টু এয়ার চ্যানেলের সঙ্গে একটি মাত্র পে-চ্যানেলও নিতে পারেন। এই বিষয়ে তাঁর স্বাধীনতা আছে।
- চ্যানেলের দর একবার ঘোষণা হলে, তা অন্তত ছ’মাস বদলাতে পারবে না কর্তৃপক্ষ।
- চ্যানেলের সংখ্যা যে কোনও মাসে গ্রাহক কমাতে বা বাড়াতে পারেন। সেই মতো তাঁকে মাসের শেষে টাকা পেমেন্ট করতে হবে।
- গ্রাহক আগে থেকে কেবল অপারটেরকে নির্দেশ না দিলে ২৯ ডিসেম্বর থেকে শুধুমাত্র ফ্রি টু এয়ার চ্যানেল দেখতে পাবেন। বাকি চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।