নয়াদিল্লি: ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আজ যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে হোয়াটসঅ্যাপ৷ এই অ্যাপে প্রাপক এবং প্রেরক উভয়ের বার্তাই সঞ্চিত থাকে ফোন মেমরিতে৷ কিন্তু জানেন কি, নির্দিষ্ট কোনও চ্যাট অ্যাপ থেকে মুছে দেওয়ার পরও হ্যাকাররা তা উদ্ধার করতে পারে৷ সবসময় আপনার ফোন ঘেটেই যে সেই চ্যাট উদ্ধার করা হবে, তা কিন্তু নয়৷ দূরে বসেও তা উদ্ধার করা যেতে পারে৷
আরও পড়ুন- ৪০ বছর নির্বাচিত সংসদ! রামবিলাস-রাজনীতির গরিমা কিন্তু কম নয়!
বেশ কিছু ক্ষেত্রে পুরনো তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব নয়৷ যেমন ধরুন- ফোন মেমরি যদি পূর্ণ হয়ে যায়, পুরনো মেসেজ ওভাররাইট করা হয় ও তা মুছে দেওয়া হয় কিম্বা ফোন নষ্ট হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ডাটা উদ্ধার হওয়া সম্ভব নয়৷ তবে ক্লাউড স্টোরেজে বা এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভে চ্যাট ব্যাকআপ সেভ থাকতে পারে৷ যেমন ধরুন- চ্যাট ব্যাকআপ ডিক্রিপ্টেড ভাবে বা গুগল ড্রাইভ বা আইক্লাউডে স্টোর হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে নতুন ফোনে সিম কার্ড ইনস্টল করার সময় তা কপি করে পুরনো চ্যাট উদ্ধার করা যেতে পারে৷
গ্রাহক ও প্রেরকের ফোন-
* প্রেরিত ও প্রাপ্ত বার্তা ফোনে ডিক্রিপ্টেড আকারে সঞ্চিত থাকে৷ ফলে যে কেউ তা উদ্ধার করতে পারে৷
* হোয়াটসঅ্যাপের অটো-ব্যাকআপ ফিচার গুগল ড্রাইভ ও আইক্লাউডে আনএনক্রিপ্টেড ফর্মে ডাটা স্টোর করে রাখে৷ ম্যানুয়াল ব্যাকআপ থেকে ক্লাউড স্টোরেজ/ হার্ডড্রাইভেও এনক্রিপ্টেড থাকে৷ যাঁর এই ফাইলের অ্যাকসেস রয়েছে, তিনি সহজেই মেসেজ পড়তে পারবেন৷
ট্রান্সমিশন-
* মেসেজ পাঠানোর আগেই তা এনক্রিপ্ট হয়ে যায়৷ ওই মেসেজ প্রাপকের ফোনে ডিক্রিপ্ট হয়ে যায়৷ হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, যদি মেসেজগুলি ট্রানজিটে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে কেউ মেসেজ পড়তে পারবে না৷ এমনকী নিজস্ব প্রযুক্তবিদও নন৷
আরও পড়ুন- বিজেপির বিবেকানন্দ বনাম বামেদের বিবেকানন্দ! তপ্ত বাংলা ভোটের রাজনীতি
হোয়াটসঅ্যাপ সার্ভার-
* ডেলিভার করার পর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যক্তিগত মেসেজ তার সার্ভারে ধরে রাখে না৷
* যদি অবিলম্বে কোনও মেসেজ ডেলিভার না হয়, তা সার্ভারে থেকে যায় (এনক্রিপটেড আকারে) সর্বোচ্চ ৩০ দিনের জন্য৷
* কল, মেসেজ লগ, আইপি অ্যাড্রেস, লোকেশন প্রভৃতি মেটাডেটা হোয়াটসঅ্যাপ সার্ভারে স্টোর থাকে৷ আইনি প্রয়োগ করে তা অ্যাকসেস করা সম্ভব৷