নয়াদিল্লি: সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ, এই ইনস্টগ্রামে ছবি আপলোড করছেন তো এই সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে বড়সড় টুইট। বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতেই পুরনো স্মৃতি উথলে উঠল, ফেসবুকের ওয়ালে বড়সড় আবেগঘন পোস্ট। এমনটা তো প্রতিদিন ঘটছে, অফিস, বাড়ি, বাসে, ট্রেনে, চোখ শুধু মোবাইলের স্ক্রিনে। খাবার সময় প্লেটের দিকেও আজকাল চোখ থাকে না, ভার্চুয়াল বন্ধুর টানে সম্পর্কগুলিও কেমন আলগা হয়ে গিয়েছে। কতক্ষণে ফেসবুকে ছবি দিয়ে অন্যদের জানান দেবেন নিজের বর্তমান অবস্থান, তাই নিয়ে যেন প্রতিযোগিতা চলছে। ফিলিং শান্তি নেই থেকে ফিলিং ব্যথা পেয়েছি, কিম্বা প্রেম পেয়েছে সবই হাজির। সোশ্যাল মিডিয়া কিন্তু বিপদেরও আধার, সেসব জানেন কী?
জানেন না তবে জেনে নিন, বিয়েবাড়িতে গ্রুপ ছবি তুলে ফেসবুকে দিলেন, ছবিতে উপস্থিত প্রত্যেকটি বন্ধুকে ট্যাগ করলেন। সেই ছবি সবাই দেখল। ইউজারদের মধ্যে হ্যাকার যেমন থাকতে পারে তেমনই সরকারি নজরদারও থাকবে। শুধু ছবি দেখা নয়, আপনার প্রোফাইলও খুঁটিয়ে দেখা হবে, বাদ যাবে না বন্ধুরাও। যদি দুর্ভাগ্য(সৌভাগ্যও ভাবতে পারেন) বশত কারও নজরে পড়ে গেলন তো বিপদের শেষ নেই। কারণ সেই ইউজার আপনার প্রোফাইলে সু নাকি কুনজর দিয়েছে আপনি জানেন না।
কিন্তু নজরদারি চলছে অলক্ষ্যেই আপনার জীবনটা খোলা খাতার মতো হয়ে গিয়েছে। কিছু চোখ সেখানে হুমড়ি খেয়ে আতিপাতি কিছু খুঁজছে। এবার বুঝতে পারছেন তো নিজের অজান্তেই কতবড় বিপদ ডেকে আনছেন প্রতিদিন। তাই ফেসবুকে প্রোফাইল থাকুক আর টুইটার অ্যাকাউন্ট, সবেতেই কিন্তু নজরবন্দি, যাই করছেন, অদৃশ্য থেকে কারও নজরে পড়ছেন। তাই সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য সরবরাহের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করবেন না। শুধু ফোন চুরি হলেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য বেহাত হল এমন ভাববেন না। প্রিয় ফেসবুকও আপনার মৃত্যুফাঁদ হতে পারে, সাবধান।