১৪০ কোটির স্বপ্নভঙ্গ ! বিশ্বকাপ হাতে তুলতে পারলেন না রোহিত-কোহলিরা

এদিন ইনিংসের শুরুতে যথারীতি রোহিত শর্মা চালিয়ে খেলে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন। এরপর শুভমন গিল আউট হওয়ার পর বিরাট কোহলি নেমে একই ভাবে রান উঠতে থাকে দ্রুত গতিতে। তবে একটা সময় অস্ট্রেলিয়ার পেস অ্যাটাকের সামনে ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ। ২৪০ রানে শেষ হয়ে যায় ইনিংস। যে রান অনায়াসে তুলে দেয় অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই শামি ও বুমরাহ উইকেট তুললেও অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা অর্ডার দাঁড়িয়ে যান। ট্রাভিস হেড অসাধারণ ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপ এনে দিলেন। তাঁর ঝকঝকে সেঞ্চুরি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিল। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করলেন লাবুশানে। অসাধারণ হাফ সেঞ্চুরি করলেন তিনি। আর খেলা শেষ হওয়ার বহু আগে থেকেই আমেদাবাদের সুবিশাল স্টেডিয়াম নিশ্চুপ হয়ে যায়।
একটা কথা পরিষ্কার করে বলা যায় ভারত 'ল অফ অ্যাভারেজ'-এর শিকার হল। অর্থাৎ পরপর জিততে জিততে একটা ম্যাচে তারা হারতেই পারে। তবে সেই ম্যাচটা যে ফাইনাল হবে সেটা কল্পনাও করতে পারেনি দেশবাসী। বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ভারত অপ্রতিরোধ্য গতিতে একের পর এক ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছে যায়। টানা ১০টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে যান রোহিতরা। কিন্তু ফাইনাল অর্থাৎ ১১ নম্বর ম্যাচে থেমে গেল ভারতের বিজয়রথ।
ছন্দপতন ঘটে গেল আসল দিনেই। অর্থাৎ আবার চার বছরের প্রতীক্ষা। সবশেষে একটা কথাই বলার, ভাগ্যদেবী অস্ট্রেলিয়ার কপালে জয়তিলক আগেই এঁকে দিয়েছিলেন। সেটা বোঝার ক্ষমতা এদিন অন্তত ভারতীয় ক্রিকেটারদের ছিল না। আর যথারীতি খেলা শেষ হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে অস্ট্রেলিয়া শিবির। এই নিয়ে ছয়বার বিশ্বকাপ জিতল তারা। যে রেকর্ড অন্য কোনও দেশের নেই। তাদের এই অসাধারণ কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা বিশ্ব।