কলকাতা: শেষ দু’বছরের হিসেব খতিয়ে দেখলে নিঃসন্দেহে বিরাটভাবে এগিয়ে আছে এটিকে-মোহনবাগান ব্রিগেড। একটিও ডার্বি হারেনি তারা। তা বলে কি শনিবারের ডার্বি একদম সহজ হবে তাঁদের জন্য? একেবারেই নয়। কারণ বড় বড় খেলোয়াড়দের মতো সাধারণ সমর্থকরাও জানেন যে, কলকাতা ডার্বি কখনও সহজ হয় না। এই ম্যাচে কোনও অতীত পরিসংখ্যান, রেকর্ড, গোল সংখ্যা, কিছুই কাজ করে না। তাহলে শনিবারের ডার্বির ফল কী হতে পারে। অবশ্যভাবে তা কেউই নিশ্চিত হতে পারছে না।
আরও পড়ুন- নতুন দায়িত্বে আসছেন? হঠাৎ মোহনবাগান তাঁবুতে সৌরভ
এটিকে মোহনবাগানের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স হতাশ করবে সমর্থকদের। শুধুমাত্র শেষ ম্যাচে কেরালাকে ৫-২ গোলে হারানোর ব্যাপারটাই আশা দিচ্ছে তাঁদের। তবে এই একটা জয় এটিকের খেলোয়াড়দের ‘ওভারকনফিডেন্স’ দিয়ে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা। যার ফল যে ভালো হবে না, সেটাই কাম্য। এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল ও ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বে অসফল তারা। আইএসএল শুরুটাও হেরে হয়েছে। তাই শেষ এক ম্যাচের জয়কে এখনই বিরাট গুরুত্ব দিতে রাজি নয় ইস্টবেঙ্গল। টানা ডার্বি জেতার বিষয়টিও আপাতত পাত্তা পাচ্ছে না।
ইস্টবেঙ্গল প্রথমেই বলেছিল যে ডুরান্ড তারা নিজেদের দেখে নেওয়ার জন্য খেলছে। ওই টুর্নামেন্ট এত গুরুত্ব পায়নি কোচের কাছে। ডুরান্ড কাপে চারটি ম্যাচ খেলে একটিতে জেতে তারা এবং দুটিতে ড্র করে। হারে একটিতে। আইএসএলেও প্রথম দুটি ম্যাচে হেরেছে লাল-হলুদ। তবে শেষ ম্যাচ জিতে ডার্বিতে নামা আলাদা আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে তাঁদের। অতীতের ডার্বির ফল নিয়ে ভাবতে নারাজ কোচও। আপাতত এই একটা ম্যাচের দিকে ফোকাস করতে চান তিনি। ইতিমধ্যেই মৌখিক লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে দুই দলের মধ্যে যা একদম স্বাভাবিক। ইস্টবেঙ্গল কোচ নিজেদের তারকা ফরোয়ার্ড ক্লেইটন সিলভার থেকে হ্যাট্রিক চেয়েছেন। এদিকে সবুজ-মেরুন অধিনায়ক প্রীতম কোটালের বক্তব্য, কে কী করতে পারে মাঠেই দেখা যাবে। এতএব, মাঠের বাইরের ডার্বি শুরু।