নয়াদিল্লি: অতিমারির জেরে দুনিয়াজুড়ে স্তব্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের ক্রীড়া। বিদেশের নামীদামি ফুটবল লিগ থেকে ভারতের ‘সফ্ট পাওয়ার’ আইপিএলও স্থগিত রাখা হয়েছে। ভারতে তৃতীয় দফার লকডাউনের পর স্পোর্টস কমপ্লেক্স এবং স্টেডিয়াম খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও তাতে দর্শকের উপস্থিতি একেবারেই অনুমোদিত হয়নি। আবার, দর্শকশূন্য মাঠে খেলা হলে যেমন আর্থিক ক্ষতি হবে তেমনই ফাঁকা মাঠে খেলা নিয়ে ক্রিকেটারদেরও সায় নেই। দর্শকদের সমর্থন, উন্মাদনা না থাকলে খেলার সেই ‘মোটিভেশন’ পাওয়া যায় না বলে সাম্প্রতিক অতীতে জানিয়েছেন একাধিক নামী ক্রিকেট তারকা। ফলে আইপিএল বা দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন, সবকিছুই বিশ বাঁও জলে। এমত পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
প্রথমেই বলা যায় ভারতের সফলতম অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির কথা। গত বছর বিশ্বকাপের পর থেকে নীল জার্সি গায়ে আর মাঠে নামেননি মাহি। টেস্টে ঋদ্ধিমান সাহা এবং সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ঋষভ পন্থ দস্তানা হাতে নিয়েছেন। ফলত, আইপিএল ছিল ধোনির অগ্নিপরীক্ষার মতো। এই প্রতিযোগিতায় তাঁর পারফর্ম্যান্সই ঠিক করে দিত তিনি আদৌ বিশ্বকাপ খেলবেন নাকি তাঁর কেরিয়ারে দাঁড়ি পড়ে যাবে। এখন, আইপিএল না হওয়ায় ধোনির ভবিষ্যত গভীর সঙ্কটে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এ নিয়ে স্বয়ং ধোনি এখনও নীরবই থেকেছেন।
অপরপক্ষে বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলির সে সমস্যা না থাকলেও কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, করোনার জেরে বিরাটের রেকর্ড হয়তো কিছুটা মার খাবে। এদিকে, করোনার জেরে ক্রিকেটার নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড়। ফেসবুক লাইভে এসে ‘দ্য ওয়াল’ জানিয়েছেন, তিনি ক্রিকেটের এই বিরতিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। তিনি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ক্রিকেটারদের পরামর্শ দিয়েছেন, এই সময়ে শরীর ও মনকে যতটা সম্ভব বিশ্রাম দিতে। এতে তাঁদের কেরিয়ার আরও দু’-তিন বছর দীর্ঘায়িত হবে বলেই দ্রাবিড়ের মত। শারীরিক এবং মানসিকভাবে ম্যাচফিট হওয়া নিয়ে তাঁর মন্তব্য, প্রথম প্রথম সন্দেহ, ভয় কাজ করলেও তা দ্রুত কেটে যাবে। যারা খেলাটাকে ভালবাসে তাদের পক্ষে ফের ছন্দে ফিরে আসা কঠিন কোনও বিষয় হবে না।