‘ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে’, সাজঘরে ফিরেও বিরাট মেজাজ, নিশানা গম্ভীরকে

‘ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে’, সাজঘরে ফিরেও বিরাট মেজাজ, নিশানা গম্ভীরকে

 নয়াদিল্লি:  লখনউ সুপার জায়েন্টসের মেন্টর  গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির বচসা নিয়ে সরগরম খেলারমাঠ৷ খেলা শেষে দুই তারকার বাক যুদ্ধ খামাতে হিমশিম খায় দুই দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্টিং স্টাফরা৷ কিন্তু মাঠের ঝামেলা মাঠেই শেষ হয়নি৷ সেই রেশ পৌঁছয় সাজঘরেও৷ নাম না করেই বিরাট আক্রমণ শানান লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টরকে। খুব ভালো মতোই বুঝিয়ে দেন যে, তিনি সহজে ছাড়বার পাত্র  নন। বুঝিয়ে দেন বিরাটকে পাল্টা দেওয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন৷ 

আরও পড়ুন-  মুখোমুখি হতেই মাঠে বাকযুদ্ধে কোহলি-গম্ভীর

সোমবার লখনউয়ে ঘরের মাঠে ছিল সুপার জায়ান্টস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচ। সেই ম্যাচ ১৮ রানে জেতে আরসিবি৷ খেলা শেষে হাত মেলানোর সময় মাঠে বচসায় জড়ান বিরাট এবং গম্ভীরের। সাজঘরে ফিরেও ঠাণ্ডা হয়নি বিরাটের মেজাজ৷ তিনি বলেন, “দারুন মিষ্টি একটা জয়। মিষ্টি জয়৷ ইট মারলে পাটকেল তো খেতেই হবে। সেটা খেতে না জানলে ইট মারাও উচিত নয়।” 

বেঙ্গালুরুর মাঠে গিয়ে গম্ভীর দর্শকদের অঙ্গভঙ্গী করে চুপ থাকতে বলেছিলেন। একে অপরকে চোখ রাঙিয়েছিলেন কোহলি ও গম্ভীর৷ গোটা ঘটনাটই মনে গেঁথে রেখেছিলেন বিরাট৷ এদিনের ঘটনায় তা স্পষ্ট হয়ে যায়। লখনউয়ের মাঠে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ধরা দেন রিরাট৷ এর পর সাজঘরে ফিরে তিনি বলেন, “এই জয়টা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। লখনউয়ের মাঠে আমরা যে অফুরন্ত সমর্থন পেয়েছি, তা এককথায় অভাবনীয়। এর থেকেই প্রমাণিত যে মানুষ আমাদের কতটা ভালবাসে। আমাদের খেলা দেখতে তারা মাঠে আসে। খুব ভাল লেগেছে এই ম্যাচ জিতে। এই জয়ের একাধিক ভাল  লাগার কারণ থাকলেও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অল্প রান করেও আমরা ম্যাচ জিততে পেরেছি। জয়ের পথে ফিরে এসে ভাল লাগছে।” সেই সঙ্গে এই জয়কে মিষ্টি জয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷