নয়াদিল্লি: আধুনিক ক্রিকেট বলতেই যে নামটা সবার আগে মাথায় আসে তা হল বিরাট কোহলি। ব্যক্তিগত কীর্তিতে সমসাময়িক সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। ওয়ান ডে তো সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে তিনি, সেই সঙ্গে পাঁচ দিনের ফর্ম্যাটেও সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন তিনি। তবে ব্যক্তিগত কীর্তি যতই পাহাড়প্রমাণ হোক, অধিনায়ক হিসেবে ততটা সফল নন তিনি, এমনটাই মত পোষণ করেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার গৌতম গম্ভীর। ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে রাজনীতির মঞ্চে নেমেছেন দিল্লির এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। বিজেপির হয়ে বর্তমানে সাংসদ গম্ভীরের সঙ্গে বিরাটের সম্পর্ক কোনও দিন ভাল নয়। আবারও বিরাটের সমালোচনা করে গম্ভীর বললেন, অধিনায়ক হিসেবে এখনও অনেক কিছু জেতা বাকি বিরাটের।
এ প্রসঙ্গে তিনি ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা এবং দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি জাক কালিসের উদাহরণ টেনেছেন। গম্ভীরের মতে এঁরা ব্যক্তিগত স্তরে কীর্তি রাখলেও দলকে ট্রফি দিতে পারেননি। তিনি বলছেন, ‘আপনি ঝুড়ি ঝুড়ি রান করে যেতে পারেন, কিন্তু যতক্ষণ না বড় বড় ট্রফি জিতছেন ততদিন আপনার কেরিয়ার সম্পূর্ণ হচ্ছে না।’ প্রসঙ্গত, মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জেতার পর ভারত আর কোনও আইসিসি ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেও হারতে হয় চির-প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। গম্ভীর বলছেন, এই সমস্ত প্রতিযোগিতার নক-আউট পর্যায়ে রান করে ম্যাচ জেতানোটাই আসল। একজন ভাল প্লেয়ার থেকে খুব খুব ভাল খেলোয়াড়ের তফাত হয় সেখানেই।
আইসিসি আয়োজিত প্রতিযোগিতার সেমি-ফাইনাল কিংবা ফাইনালে ভারতের ব্যর্থতার কারণ চাপ নিতে না পারা বলে মনে করছেন গম্ভীর। তাঁর কথায়, ‘আমার মনে হয় আমরা চাপ সামলাতে পারিনি যেটা অন্য দল পেরেছে। লিগ ম্যাচে ভাল খেলে সেমি ফাইনাল, ফাইনালে ভাল খেলতে না পারার নেপথ্যে মানসিক কাঠিন্যের অভাব হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দাবি করতেই পারি যে আমাদের সবকিছু আছে, আমরা বিশ্বজয়ী হওয়ার যোগ্য। কিন্তু মাঠে নেমে যতক্ষণ সেটা না করা যাচ্ছে ততক্ষণ তোমাকে বিশ্বজয়ী বলা হবে না। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পারফর্ম করতে বিশ্বাসের জোর থাকতে হয় যাতে ভারতের ঘাটতি রয়েছে।’