মুম্বই: ফের বাইশ গজে ফিরছেন প্রাক্তন অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং! ঘরোয়া ক্রিকেটে পাঞ্জাবের হয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দেখা যেতে পারে ২০১১র ক্রিকেট বিশ্বকাপে ম্যান অব দ্য সিরিজকে! ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন তাঁর অগনিত ভক্তকূল। 'ক্রিকবাজ'-কে তিনি জানিয়েছেন, পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি পুনীত বালির অনুরোধের পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জানা গেছে তাঁর প্রত্যাবর্তনের এই পরিকল্পনা বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিকেও লিখিত জানিয়েছেন যুবরাজ এবং বোর্ডের পক্ষ থেকে সাড়া পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে তাঁর এই কাম ব্যাকের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যে বেশ বেগ পেতে হবে বা সম্ভাবনা খুবই কম, তেমনই ইঙ্গিত মিলছে বিসিসিআইয়ের নিয়মবিধি থেকে।
বোর্ডের এক কর্মকর্তা যুবরাজের মাঠে ফেরার বিষয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে এএনআই-কে জানিয়েছেন যুবরাজের মতো অভিজ্ঞ কারও সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ, পাঞ্জাব স্কোয়াডের তরুণ খেলোয়াড়দের পক্ষে এটা একটা দারুন ব্যাপার হতে পারে। তবে একইসঙ্গে জানিয়েছেন হতাশার কথাও। কারণ তাঁর কথায়, বিসিসিআইয়ের রেকর্ডে যুবরাজ এখন একজন অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়াড় হিসাবে তালিকাভুক্ত। গতবছর অবসর গ্রহণের পরেই নিয়ম অনুযায়ী তিনি অবসরের এককালীন সুবিধা পেয়েছেন এবং প্রতি মাসে ২২,৫০০ টাকা পেনশনও পাচ্ছেন। এই সমস্ত কিছুই বোর্ডের অ্যাকাউন্টে নথিভুক্ত রয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে অবসর গ্রহণের পর থেকে দুটি বিদেশী লিগ খেলেছেন যুবরাজ। ভারতীয় ক্রিকেট ছাড়ার এক মাস পরেই যুবরাজ গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে কানাডায় টরন্টো ন্যাশনালদের হয়ে খেলেছেন। টি-টেন লিগে মারাঠা আরবীয়দের হয়েও খেলেছেন তিনি।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, কোনও ভারতীয় খেলোয়াড় বিদেশের লিগে অংশ নিতে চাইলে বোর্ড থেকে এনওসি পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আইপিএল থেকে অবসর নিতে হয়।
গতবছর হঠাৎ করেই ক্রিকেট থেকে সম্পূর্ণভাবে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যুবরাজ। তাঁর এই সিদ্ধান্ত যেমন তাঁর ভক্তদের হতাশ করেছিল, তিনি নিজেও কিন্তু তা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। তবে ক্যান্সারের মত মারণ রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে ফিরে বাইশ গজে কিছুটা হলেও ছন্দপতন হয়েছিল। তাই বলা যায় শুধুমাত্র সেই সময়ের প্রতিকূলতার কাছেই হার স্বীকার করেছিলেন। মাত্র একবছরের মধ্যেই তাঁর ফের ব্যাট হাতে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকেই যা স্পষ্ট। কিন্তু বাইশ গজের টানে এখন তাঁর এই প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা বিসিসিআইয়ের নিয়মবিধি অনুসারে আদৌ গ্রহনযোগ্য হয় কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন।
তেমন এবছরের শুরুতেই, আইপিএল থেকে বাদ পড়েন প্রবীন তাম্বে। কারণ ২০১৮ সালে অবসর গ্রহণের পর সেবছরই তিনি শারজায় টি-টেন লিগে অংশ নিয়েছিলেন। এরপর অবসর ভেঙে ফের আইপিএল ২০২০-তে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার কথা ছিল তাঁর। সেইমতো ২০১৯ সালেই ফের প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। তবে ফর্মে থাকা সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্ত মেনে দল থেকে বাদ পড়েন তাম্বে।