কলকাতা: দেশের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসেই প্রাণ হারালেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রশান্ত ডোরা। দীর্ঘ লড়াইয়ের অবসান ঘটল মঙ্গলবার দুপুরে। রাজারহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাত্র ৪৪ বছর বয়সেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কলকাতা ময়দানের অতিপরিচিত মুখ প্রশান্ত।
দীর্ঘদিন ধরেই দুরারোগ্য ব্যাধি হেমোফ্যাগোসিটিসি লিম্ফোহিস্টিওসাইটোসি রোগে ভুগছিলেন প্রশান্ত ডোরা। প্রধানত শিশুরাই এই রোগে আক্রান্ত হয়। বড়দের মধ্যে ছিল রোগ খুবই বিরল। গত কয়েকদিন ধরে তিনি রাজারহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। দাদা প্রাক্তন হেমন্ত ডোরা কয়েকদিন আগেই ও পজিটিভ রক্ত চেয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আর্জি জানিয়েছিলেন। প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন হাসপাতালে প্রশান্ত ডোরাকে দেখতে গিয়ে সমস্তরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে ক্রমেই অবস্থার অবনতি হয় প্রাক্তন ফুটবলারের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্লেটলেট অস্বাভাবিকভাবে কমে গিয়েছিল। জরুরী ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন ছিল। তাই আর শেষরক্ষা হল না। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কলকাতা ময়দানের অন্যতম তিন প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহমেডানের গোল সামলেছেন প্রশান্ত ডোরা। তার দস্তানার উপর নির্ভর করে অনেক কঠিন ম্যাচেও জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ময়দানের তিন প্রধান। খেলেছেন টালিগঞ্জ অগ্রগামী ও কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের হয়েও। সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার হয়ে খেলেছেন। ১৯৯৯ সালে ভারতীয় দলে খেলার জন্য ডাক পান। দেশের হয়ে সাফ কাপ ও সাফ গেমস খেলেছেন। প্রশান্ত ডোরার অকালমৃত্যুতে শোকাহত বাংলার ক্রীড়া মহল। প্রাক্তন জাতীয় গোলরক্ষকের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ফুটবলপ্রেমীরাও।