কলকাতা: নতুন বছরের শুরুতেই প্রবল দুশ্চিন্তার খবর রাজ্য তথা দেশবাসীর জন্য। বুকে ব্যথার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক এবং বর্তমান বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, গতকাল থেকেই একাধিকবার বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। অবশেষে আজ শহর কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মহারাজ।
He had a heart issue and is in Woodlands hospital. But is stable will need a procedure confirm hospital sources. Should be out of the woods in the next few hours. I wish him a speedy recovery. @SGanguly99
— Boria Majumdar (@BoriaMajumdar) January 2, 2021
সূত্রের খবর, এদিন নিজের বাড়িতেই জিম করছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরেই কিছুটা অসুস্থ অনুভব করতে থাকেন তিনি। এরপর তাঁকে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ইসিজি-র পর দেখা যা,য় মৃদু কার্ডিয়াক মহারাজের। তবে জানা গিয়েছে আপাতত তিনি স্থিতিশীল রয়েছে তবে তাঁকে পরবর্তী কিছু সময় পর্যবেক্ষণের রেখেছেন চিকিৎসকরা। এও জানা গিয়েছে, এনজিওপ্লাস্টি পরীক্ষা হয়ে যাবার পর খুব দ্রুতই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে জিম করার সময় বুকে ব্যথা অনুভব করার পর ব্ল্যাক আউট হয়ে যান তিনি। পরে অবশ্য নিজেই ডাক্তারকে ফোন করেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর ইসিজি হয়। তবে হঠাৎ এই ঘটনা স্ট্রেস-এর জন্য নাকি শরীরে আগে থেকে অন্য কোনও সমস্যা ছিল, তা খতিয়ে দেখতে একাধিক টেস্ট করা হতে পারে বিসিসিআই সভাপতির।
Sad to hear that @SGanguly99 suffered a mild cardiac arrest and has been admitted to hospital.
Wishing him a speedy and full recovery. My thoughts and prayers are with him and his family!
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) January 2, 2021
ইতিমধ্যেই সৌরভকে নিয়ে টুইট করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের খবর শুনে তিনি প্রচণ্ড দুঃখিত। তাঁর দ্রুত আরগ্য কামনা করছেন। এদিকে তাঁর অসুস্থতার খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে পরিবার সূত্রের খবর, এর আগে এইভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েননি ‘দাদা’। তবে কাজের চাপ একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে মনে করছেন অনেকেই। কারণ বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বেশি আরাম পাননি তিনি। মাঝে আইপিএল চলাকালীন দীর্ঘ সময় আমিরশাহিতে থাকেন। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার সময় বেশ কিছুদিন তিনি কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।