অজিদের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’ প্রথম শিখিয়েছিলেন সৌরভ, প্রশংসায় পঞ্চমুখ ব্র্যাড হগ

অজিদের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’ প্রথম শিখিয়েছিলেন সৌরভ, প্রশংসায় পঞ্চমুখ ব্র্যাড হগ

নয়াদিল্লি: সিডনি টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষে ভারতীয় ক্রিকেটের খুব বড় ভক্তও জোর দিয়ে বলতে পারছিলেন না এ যাত্রায় সিরিজটা বেঁচে যাবে। অস্ট্রেলিয়ার ৩৮০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ভারত চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে ৯৮-২ স্কোরে। গুগলের ভবিষ্যতবাণী অনুযায়ী ৯০% জয়ের পাল্লা ভারী অস্ট্রেলিয়ার দিকে। সেখান থেকে পঞ্চম দিনে যে রূপকথা লিখলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং হনুমা বিহারী, যে ড্র উপহার দিলেন আপামর ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীকে, ইতিহাসে তা বহুদিন পর্যন্ত লেখা থাকবে।

এর আগে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার মুখ থেকে অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বে দুর্দান্ত জয়ের গ্রাস ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। আর তারপর নিশ্চিত বিপর্যয়ের মুখ থেকে ফিরে এসে এই ড্র, প্রথম টেস্টের লজ্জাজনক হারের পর ভারতের এই ‘কামব্যাক’টা চোখে পড়ার মতো উজ্জ্বল। শেষ কবে ক্যাঙারুর দেশে এই ‘দাদাগিরি’ দেখিয়েছে টিম ইন্ডিয়া? কবে থেকেই বা ২২ গজে চোখে চোখ রেখে এই আপোষহীন আগ্রাসনের উৎপত্তি? এর উত্তর রয়েছে বাঙালির ঘরেই। অন্তত তেমনটাই মত প্রাক্তন অজি তারকা ব্র্যাড হগের।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে বিপক্ষের চোখে চোখ রেখে হার না মানা মানসিকতার বীজ বপন করেছিলেন, এদিন সিডনি টেস্টে ভারতের ঐতিহাসিক ড্র-এর প্রশংসা করতে গিয়ে স্বীকার করে নিলেন ব্র্যাড হগ। তিনি বলেন, “ওঁর (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়) সময় থেকেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অজিদের চোখে চোখ রেখে জবাব দিয়েছে ভারত। রাহানের নেতৃত্বে চলতি সিরিজে ভারতীয়দের শরীরী ভাষায় দেখা যাচ্ছে তারই প্রতিফলন।” সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার খেলার স্মৃতিচারণ করে এদিন তিনি আরো বলেন, “টস করতে দেরি করে নেমে স্টিভ ওয়াকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন সৌরভ। অজিরা কখনো নিজেদের মাটিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে ভালবাসে না। কখনো হারতে চায় না। অজিদের সেই দাপট কমিয়েছিল সৌরভ।”

ব্র্যাড হগের কথা একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। আগামীকাল থেকে ব্রিসবেনে শুরু হতে চলেছে ভারত অস্ট্রেলিয়ার চলতি সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্ট। এই ব্রিসবেনের মাটিতেই কিন্তু ১৪৪ রানের রূপকথার ইনিংস খেলেছিলেন ‘মহারাজ’ সৌরভ। বর্তমানে করোনা আবহে একে কোয়ারানটাইনের চাপ, তার উপর চোটে জর্জরিত ভারতীয় শিবির। ‘দাদা’র সেই ঐতিহাসিক ‘দাদাগিরি’র ছায়া কি ব্রিসবেনে দেখাতে পারবে ভারত? বলা বাহুল্য, উত্তর দেবে সময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *