কলকাতা: তাঁরা দু’জনেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সেরা৷ একজন ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা৷ অন্যজন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক শোয়েব মালিক৷ তাঁদের ভালবাসার স্রোতেই একদিন বাঁধা পড়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ। ২০১০ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এই তারকা জুটি৷ ১২ বছর চুটিয়ে সংসারও করেন তাঁরা৷ তবে সেই সুখের বাসাতেই নাকি ফাটল ধরেছে৷ ঘর ভাঙছে শোয়েব-সানিয়ার৷ তেমনটাই কানাঘুষো৷
আরও পড়ুন- এশীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপে ইতিহাস সৌরভদের, কুয়েতকে হারিয়ে প্রথম সোনা জিতল ভারত
জানা গিয়েছে, বিবাহিত জীবন শেষ করতে চাইছেন সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিক। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। সূত্রের খবর, দুই তারকা আর একসঙ্গে থাকছেন না৷ জোর গুঞ্জন শোয়েব নাকি অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন৷ তবে তাঁদের একমাত্র সন্তান ইজহান মির্জা মালিককে একসঙ্গেই দেখাশোনা করছেন৷
ভারতীয় টেনিসের গ্ল্যামার গার্ল সানিয়া ও পাক ক্রিকেট তারকা শোয়েবের প্রেমকাহিনী ছিল খানিকটা রূপকথার মতো। এক সময় তাঁদের প্রেম নিয়ে প্রচুর চর্চাও হয়েছে। তাঁদের বিয়ে নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি৷ কিন্তু সব বিতর্ক হার মেনেছিল তাঁদের ভালবাসারা কাছে৷ সমালোচকদের মুখের উপর মোক্ষম জবাব দিয়ে ঘর বেঁধেছিলেন তাঁরা৷ ২০১৮ সালে এই তারকা দম্পতির একমাত্র সন্তান ইজহানের জন্ম হয়।
খেলার দুনিয়ার সানিয়া-শোয়েবের জুটি সকলেরই প্রিয়৷ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই মুলুকের বিভেদ পেরিয়ে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁদের সম্পর্ক অনেকেরই মনে দাগ কাটে৷ তবে তাঁরা ভারত বা পাকিস্তান নয়, থাকেন দুবাইতে৷ খেলার জন্য বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যেতে হয় দু’জনকেই৷ যাতায়াতের সুবিধার জন্যেই তাঁরা বেছে নিয়েছেন এই শহরকে৷ পাম জুমেইরাহ আইল্যান্ডে এক বিলাসবহুল বাড়িতে থাকতেন দু’জনে৷ পরবর্তীতে ঠিকানা বদল করলেও দুবাই ছাড়েননি৷
বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সানিয়ার কিছু পোস্ট ভক্তদের মনে সংশয়ের বীজ বুনছিল। কঠিন সময়ের মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিচ্ছিলেন ভারতীয় এই টেনিস তারকা। তবে জল্পনার সূত্রপাত ইজহানের জন্মদিনের ছবি ঘিরে। ছেলের জন্মদিনের গুচ্ছ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন শোয়েব। কিন্তু, ছেলের জন্মদিন পালনের কোনও ছবি পোস্ট করেননি সানিয়া।
জানা গিয়েছে, ইজহান নাকে কিছু সময়ে জন্য শোয়েবের কাছে থাকছে। বাকি সময়টা ছেলের দেখভাল করছেন সানিয়া। কিছুদিনের মধ্যে তাঁরা আইনি ভাবে বিচ্ছেদের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেই খবর।