মুম্বই: ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহির্বিশ্বের হস্তক্ষেপ নিয়ে কথা বলে ভারতীয়দের কাছেই দুষমন বনে গেলেন সচিন তেন্ডুলকর। দিল্লির কৃষক আন্দোলন নিয়ে রিহানা ও গ্রেটা থুনবার্গের ট্যুইটের পরই তাদের বিরোধীতায় সরব হয়েছিলেন মুম্বইয়ের বিশিষ্টজনরা। তাদের মধ্যে ছিলেন মাস্টার ব্লাস্টারও। কৃষকদের নিয়ে কিছু না বললেও কেন্দ্রীয় সরকারের সুরে কথা বলে নেটিজেনদের নিন্দার মুখে পড়তে হল তাকে।
২৬ জানুয়ারি কৃষকদের আন্দোলনে হিংসার প্রতিচ্ছবি ছড়িয়ে পড়েছে গোটা পৃথিবীতে। তারপরই এই বিষয়ে ট্যুইট করেন সুইডেনের ১৮ বছর বয়সী পরিবেশবিদ গ্রেটা থুনবার্গ। ট্যুইটারে সরব হন মার্কিন গায়িকা রিহানাও। কিন্তু তাদের ট্যুইটের বিরোধীতা করে একসুরে গর্জে ওঠে বলিউড ও ভারতের ক্রিকেটজগৎ। একে একে ট্যুইট করেন বিরাট কোহলি, রবি শাস্ত্রী, অনিল কুম্বলে, শিখর ধাওয়ান প্রমুখরা। এই তালিকায় সবার শীর্ষে যদিও রয়েছেন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ সচিন তেন্ডুলকর। কিন্তু তারপরই একসময় ১০০ কোটির কাছে কার্যত পূজিত হয়েছেন যিনি, সেই তিনিই এক লহমায় অচেনা হয়ে গেলেন। শুরু হয়ে গেল নেটিজেনদের কটাক্ষ।
২০১৪ সালে টেনিস তারকা মারিয়া শারাপোভা বলেছিলেন, তিনি সচিন তেন্ডুলকরকে চেনেন না। সেই সময়ে টেনিস সুন্দরীর এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। কিন্তু বর্তমানে তাদের মধ্যে অনেকেই শারাপোভার কাছে ট্যুইটারে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন। জানাচ্ছেন, শারাপোভার সচিনকে না চেনা এমন কিছু অস্বাভাবিক নয়। কারণ এই সচিন তেন্ডুলকারকে তারাও চিনতে পারছেন না। এমনকি ক্রিকেট কিংবদন্তিকে ‘অম্বানির পোষ্য’ বলতেও পিছপা হননি নেটাগরিকরা।