বিশ্বকাপে জিতেই পিচের মাটি খেয়েছিলেন রোহিত শর্মা! কেন এমন কাণ্ড?

কলকাতা: বিশ্বকাপে জিতে পিচের মাটি খেয়েছিলেন রোহিত শর্মা৷ কেন এমন কাণ্ড করেছিলেন ভারতের ক্যাপ্টেন?আসল কারণটা শুনলে অবাক হয়ে যাবেন৷ উত্তর প্রকাশ্যে দিয়ে দিলেন রোহিত নিজেই৷…

কলকাতা: বিশ্বকাপে জিতে পিচের মাটি খেয়েছিলেন রোহিত শর্মা৷ কেন এমন কাণ্ড করেছিলেন ভারতের ক্যাপ্টেন?আসল কারণটা শুনলে অবাক হয়ে যাবেন৷ উত্তর প্রকাশ্যে দিয়ে দিলেন রোহিত নিজেই৷

প্রশ্ন উঠতেই পারে রোহিত শর্মা কি টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচকে নকল করেছিলেন? ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর দেখা গিয়েছিল এক অদ্ভুত ঘটনা। ভারতীয় বোর্ড একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে। সেখানে পিচের মাটি খেতে দেখা গিয়েছে রোহিত শর্মাকে৷ তারপরই জল্পনা এর নেপথ্যে কারণটা কী? রোহিত এই মুহূর্তটি ভুলতে পারছেন না। তিনি বলেন, “এই মুহূর্তটা বিশ্বাস করা কঠিন। এখনও ঠিক ধাতস্থ হতে পারছি না। স্বপ্ন মনে হচ্ছে। সত্যিই আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি, কিন্তু সেটা বিশ্বাস করতে পারছি না। এটাই আবেগ। মনের মধ্যে এটাই চলছে।”

তবে পিচের মাটি মুখে নেওয়ার সিদ্ধান্তটা নাকি তাঁর হঠাত্ই ছিল৷ দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ভারত। এক সময় দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য ৩০ বলে ৩০ রান প্রয়োজন ছিল। ভারতের করা ১৭৬ রান তখন কম মনে হচ্ছিল। এমন একটা পরিস্থিতি থেকে ভারতকে ম্যাচ জেতান যশপ্রীত বুমরা, হার্দিক পাণ্ড্যেরা। সূর্যকুমার যাদব বাউন্ডারিতে অবিস্মরণীয় ক্যাচ ধরেন। যার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ হয়ে যায় ১৬৯ রানে।

রোহিত শর্মা বলছেন, পিচের মাটি মুখে নেওয়ার ব্যাপারে “কোনও কিছু আগে থেকে ঠিক করা ছিল না। তাঁর যেমন মনে হয়েছে, তেমন করেছেন। তিনি উপভোগ করছিলেন মুহূর্তটা। ওই পিচ ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়েছে। এই মাঠ, এই পিচ রোহিত ভুলতে পারবেন না। তাই এর একটা অংশ রোহিত নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিলেন৷ কারণ এই মুহূর্তগুলো খুবই স্পেশাল। তাঁর স্বপ্ন সত্যি হয়েছিল। তিনি কিছু একটা নিয়ে যেতে চাইছিলেন। সেই কারণেই মাটি খেয়েছিলেন।”

শনিবার ভারত বিশ্বকাপ জেতার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায় হার্দিক পাণ্ড্য কাঁদছেন। রোহিত শর্মা মাটিতে বসে পড়েছেন। মহম্মদ সিরাজের চোখে জল। বিরাট কোহলি দৌড়চ্ছেন। গোটা দল আবেগে ভাসছে। গোটা দেশের সঙ্গে গোটা দলকেও আবেগপ্রবণ অবস্থাতেই দেখা গিয়েছিল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *