রোলাঁ গারোজের লাল মাটিতে বাজিমাত, তেইশের প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফের চ্যাম্পিয়ন ছত্রিশের রাফা

রোলাঁ গারোজের লাল মাটিতে বাজিমাত, তেইশের প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফের চ্যাম্পিয়ন ছত্রিশের রাফা

কলকাতা: তিনি কিংবদন্তী৷ তিনি ক্লে কোর্টের সম্রাট৷ তিনি রাফায়েল নাদাল৷ ফরাসি ওপেনের লাল মাটির কোর্টে তিনি অপ্রতিরোধ্য৷ তাঁর নামে সর্বক্ষণ দর্শকদের জয়ধ্বনি৷ সেই চিৎকার এতটাই বেশি যে বারবার আম্পায়ারকে বলতে হল ‘মারসি’৷ অর্থাৎ ‘ধন্যবাদ’৷ ম্যাচের মাঝে আম্পায়ার দর্শকদের বারবার থামতে বলেছিলেন৷ কিন্তু থেমে থাকেননি নাদাল৷ ম্যাচ জেতার আগে পর্যন্ত দাপট দেখিয়ে গেলেন তিনি৷ অথচ দিন কয়েক আগেই বা পায়ে চোট পেয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে কোর্ট ছেড়েছিলেন এই টেনিস তারকা৷ কিন্তু, ফরাসি ওপেনে নেমে তিনি বুঝিয়ে দিলেন তিনি আজও দুর্দমনীয়৷ 

আরও পড়ুন- ফরাসি ওপেন জিততে আজ নামছেন ১৩ বারের জয়ী রাফা

এদিকে প্রথমবার কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন ক্যাসপার রুদ। তাঁর দেশ নরওয়ের কোনও টেনিস খেলোয়াড়ের এহেন কীর্তি নেই। তাঁর বাবা ক্রিশ্চিয়ান রুদ ছিলেন একসময় নরওয়ের সেরা খেলোয়াড়। তিনি নিঃসন্দেহে বাবাকে ছাপিয়ে গিয়েছেন৷ কিন্তু যিনি তাঁর অনুপ্রেরণা, সেই নাদালের বিরুদ্ধে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলতে নেমে পরাজিত হলেন ২৩ বছরের রুদ।

সুপার সানডের মেগা ফাইনালে অবশ্য নাদাল নেমেছিলেন ফেভারিট হিসেবেই। খেললেনও রাজার মতো। বলতে গেলে রুড সে ভাবে লড়াই করার কোনও সুযোগই পেলেন না। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাজিক দেখালেন নাদাল৷ যদিও দ্বিতীয় সেটে ৩-১ –এ এগিয়ে গিয়েছিলেন নরওয়েল খেলোয়ার। কিন্তু ওইটুকুই৷ নাদালের দাপটে কার্যত উড়ে গেলেন তিনি। ম্যাচের ফল ৬-৩, ৬-৩, ৬-০৷

খেলার স্কোর দেখা স্পষ্ট যে লড়াইটা হয়েছে খানিকটা একপেশে। প্রথম দুটি সেটে সামান্য লড়াই করার চেষ্টা করলেও তৃতীয় সেটে নাদালের সামনে একেবারে আত্মসমর্পণ করে দেন রুড। আর সেই সঙ্গে ফরাসি ওপেনের ১৪তম খেতাবটি ঝুলিতে পুড়ে নেন রাফায়েল নাদাল।  চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি একাধিক রেকর্ডের মালিকও হয়ে গেলেন এই টেনিস তারকা। সবচেয়ে বয়স্ক টেনিস খেলোয়ার হিসেবে ক্লে কোর্ট খেতাব জয়ের নজির এখন একমাত্র নাদালের ঝুলিতে। ২০০৫ সালে ১৯ বছর বয়সে প্রথমবার গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন তিনি। তারপর একে একে ১৪টি গ্ল্যান্ড স্লাম জয়। কোনও মহিলা কিংবা পুরুষ টেনিস তারকার ঝুলিতে প্যারিসের এই কোর্টে ১৪টি খেতাব জেতার নজর নেই৷